রাউজানে পুলিশের ধাওয়ার পর চালকের মৃত্যু

33

চট্টগ্রামের রাউজানে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ভয়ে মো. রফিক (৫৫) নামে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রফিক রাউজান ইউনিয়নের পূর্ব রাউজান এলাকার মৃত মুছা মিয়ার ছেলে। জানা যায়, রাউজান জলিলনগর বাস স্টেশনে রাউজান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামালের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অটোরিকশাকে থামানোর সংকেত দেয়। পরে চালককে পুলিশের সঙ্গে ডিউটি করতে বলেন। এসময় গাড়িতে যাত্রী থাকায় অপরাগতা প্রকাশ করেন চালক রফিক। তিনি গাড়ির (চট্টগ্রাম-থ-১১-৬৭৪২) গতি বাড়িয়ে পলিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশও তার পিছু নেয়। পরে গাড়ি রেখে দৌড়ে পালিয়ে গিয়ে খড়ের স্তূপে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই বিষয়ে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক (রাত ১২ টা ৫৫মিনিট) মাহামুদুল ইসলাম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, রাত ১২টা ৫৫ মিনিটের সময় রফিক মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তখন আমি ডিউটিতে ছিলাম। দেখলাম হাসপাতালে আনার অনেক আগেই তিনি মারা যান। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু সাংবাদিকদের বলেন, শনিবার দুপুরে দাফন করা হয়েছে। তবে তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে বলে জেনেছি। পুলিশের ধাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই ধরনের অভিযোগ করেনি। তবে জানতে পেরেছি পুলিশের সাথে জলিল নগর এলাকায় দেখা হওয়ার পর বাড়িতে গেলে সেখানে তিনি মারা যান।
রাতে জলিল নগর এলাকায় দায়িত্বপালনকারী উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল সাংবাদিকদের বলেন, একটি সিএনজি অটোরিকশাকে দাড়ানোর জন্য সংকেত দিলে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে। আমরা মনে করেছিলাম অবৈধকিছু আছে, তাই পিছু নিলে সে অটোরিকশা রেখে পালিয়ে যায়। আমরা অটোরিকশাটি থানায় নিয়ে আসি।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মধুসুদন নাথ সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ গাড়ি আটকাবে মনে করে এক অটোরিকশা চালক গাড়ি রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছি। এতে পুলিশের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি। গাড়িটা পরিত্যক্ত হিসেবে থানায় আনা হয়। পরে জানতে পারি ওই ব্যক্তির গাড়ি।
নিহত রফিকের দুই মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। সিএনজি চালিত অটোরিকশাটি বর্তমানে থানা হেফজতে রয়েছে।