রাউজানে টমটম উল্টে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু

2

রাউজান প্রতিনিধি

নিজের সন্তান না হলেও কান্না যেন থামাতেই পারছেন না কলেজ শিক্ষক মো. ইয়াছিন। শহিদুল ইসলাম রাফি (১৪) নামের এক শিক্ষার্থী গতকাল শুক্রবার বিকেলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর শিশুটির চাচার এমন আহাজারীতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। নিহত রাফির পিতা মোহাম্মদ রফিকও ইয়াছিনের কান্না থামাতে বার বার চেষ্টা করার পরও ব্যর্থ হচ্ছেন।
জানা যায়, রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পলোয়ান পাড়াস্থ নুরুল ইসলাম মেম্বারের বাড়ির মো. রফিক ও রুবি আকতারের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে শহিদুল ইসলাম রাফি গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার সময় একটি টমটম গাড়িতে করে চাচার নির্মাণাধিন ভবনের জন্য কাঠ নিয়ে যাচ্ছিল। মাস্টার দা সূর্যসেন সড়কের সিকদার বাড়ির সামনে বেপরোয়া গতিতে চলা টমটম গাড়িটি আরেকটি বালুবাহী গাড়িকে পাশ কাটাতে গিয়ে টমটমটি উল্টে যায়। এসময় টমটম থেকে ছিটকে পড়ে রাফিসহ কয়েকজন ছেলে। ঘটনাক্রমে উল্টে যাওয়া টমটমের নীচে চাপা পড়ে যায় রাফি। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াপাড়া পথেরহাট কসমিক হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে নগরের অক্সিজেনস্থ এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টার সময় তার মৃত্যু ঘটে। নিহত শহিদুল ইসলাম রাফি নোয়াপাড়া মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে নোয়াপাড়া বিশ^বিদ্যাল কলেজের প্রভাষক মো. ইয়াছিনের ভাইপো।
তার মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গতকাল শুক্রবার রাতেই তাকে নিজগ্রামে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে নিহত রাফির নিকটাত্মীয় আবু তাহের বলেন, রাফি খুবই নম্র ও ভদ্র ছিলো। এভাবে চলে যাওয়া আমরা মেনে নিতে পারছি না।
নিহতের চাচা কলেজ শিক্ষক মো. ইয়াছিন বলেন, আমার ভাইপোর অনাকাঙ্খিত অকাল মৃত্যুর কারণ হচ্ছে মাস্টার দা সূর্যসেন সড়কে বেপরোয়া বালুবাহী গাড়ি চলাচল। এসব যান দ্রæত বন্ধ করা হোক। অন্যথায় আরো দুর্ঘটনা বাড়বে।