রাউজানে জিপ গাড়ির চাপায় মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু

37

রাউজানে ইটবাহী একটি জিপ গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয়েছে মাদ্রসাা ছাত্রী সানজিদা আক্তার মুক্তা (৮) নামে এক কন্যা শিশুর করুণ মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার রাউজানের ছাইক্কাটিলা নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ঘাতক চালক পালিয়ে গেলেও ইটবাহী জিপ গাড়িটি আটক করে স্থানীয়রা। এদিন স্থানীয় উত্তেজিত জনতা দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জানিপাথর সড়কে ব্যারিক্যাড দেওয়া হয়। জানা যায়, গত বুধবার সকালে ইটবোঝাই একটি জিপ গাড়ি (চট্টগ্রাম-দ-১০৭৮) নিয়ে ঘাতক চালক তৌহিদুল ইসলাম ছাইক্কাটিলা আসে। সেখানে এক হাজার ইট গাড়ি থেকে রেখে বাকি এক হাজার ইট নিয়ে রওনা দেয়। গাড়ির পেছন পেছন দৌঁড়ে আসে মুক্তা। পরে গাড়ি ঘোরানোর জন্যে পেছনে দিলে চাকার নিচে পড়ে যায় মুক্তা। এ সময় চাকায় তার মাথা ও ডান পা পড়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় মুক্তা। নিহত মুক্তা এ এলাকার দিনমজুর মো. আব্দুল আজিজ ও লায়লা আক্তার সাথীর কন্যা। এই ঘটনার পর স্থানীয় জানিপাথর বাজারে ব্যারিকেড দেয় স্থানীয় জনতা। পরে বিকেল ৪টার সময় স্থানীয় প্রশাসনের অনরোধে উঠিয়ে নেওয়া হয়। নিহত মুক্তা স্থানীয় তালিমুল কুরআন নূরানী মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য মো. শাহাজান এবং রাউজান থানার এস আই আবু বক্কর । এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসেছি। এটি খুবই মর্মান্তিক একটি ঘটনা।
মেয়েটির পরিবার খুবই অসহায়, মামলা করতে চাচ্ছে না। আমরা চেষ্টা করছি উভয়ের সাথে কথা বলে সমাঝোতা করতে। এ প্রসঙ্গে রাউজান থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হারুণ বলেন, মেয়েটির পরিবার মামলা করতে রাজি হচ্ছে না। তাই স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ উপস্থিত থেকে লাশ মেয়েটির পরিবারকে হস্তান্তর করা হলে তারা জানাযা শেষে দাপন করা হয়।