রমজান সামনে রেখে বেসামাল বাজার

14

নিজস্ব প্রতিবেদক

রমজানের আগে থেকেই বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সবজি দামও। শীতকালীন মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বেড়েছে মাছ ও ডিমের দাম। এদিকে বছরের শুরু থেকেই বেড়ে চলেছে মুরগির দাম। গতকাল শুক্রবার নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ রমজানের আগে সিন্ডিকেট করে জিনিসের দাম বাড়ানো হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়, ফুলকপি প্রতিকেজি ৪০ টাকা, প্রতিকেজি বরবটি ৭০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, আলু ২০ থেকে ২৫, দেশি আলু ৫০-৬০ টাকা, মুলা ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, করলা ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ী এরশাদ আলম জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি সবজির দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। শীতের মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় সবজির সরবরাহ কিছুটা কমছে। তাই দামও বাড়ছে কিছুটা। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রতি বছর রমজানের শুরুতে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। এবার রমজানের আগে থেকেই বাড়ানোর পায়তারা করছে অসাধু সিন্ডিকেট। ফলে সমস্যায় পড়ছে সীমিত আয়ের মানুষ।
বহদ্দারহাটে বাজার করতে আসা গৃহিনী সাফিয়া বেগম জানান, বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। সামনে রমজান মাসে খরচ আরও বাড়বে। বাজারে জিনিসের দাম কয়েকগুণ বাড়লেও এগুলি তদারকিতে নেই কোন উদ্যোগ। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে ক্রেতাদের।
প্রতিকেজি পাঙ্গাস ১৭০ টাকা, শিং ৫শ টাকা, চিংড়ি ৬শ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, শোল ৪৮০ থেকে ৫শ টাকা, রুই ২৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ টাকা এবং কাতলা মাছ ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি।
পাইকারিতে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২৬ টাকায়। খুচরায় প্রতি ডজনের দাম ১৩০ থেকে ১৪৫ টাকা। যদিও দুই সপ্তাহ আগে প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়ীরা জানান, এখন ডিমের সরবরাহ ভাল। তবে গাড়িভাড়া বেশি পড়ায় দাম কিছুটা বাড়তি। রোজার মাসে ডিমের চাহিদা কম থাকে তখন দাম কমে যাবে। তবে রোজার শেষের দিকে ডিমের দাম আবার বাড়তে পারে।
বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। একমাস আগে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। এছাড়া প্রতিকেজি সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৮০ থেকে ৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, খামারিরা মুরগির খাবার, টিকা আর ওষুধের দাম বাড়ার অজুহাতে বাড়তি দরে মুরগি বিক্রি করছেন। তাই আমরাও বাড়তি দরে মুরগি বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। এদিকে আগের দরেই প্রতিকেজি গরুর মাংস ৮শ ও খাসির মাংস ১১শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দেশি রসুন ১৮০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদা ১৪০ টাকা ও আমদানি করা আদা ২৮০ থেকে ৩শ’ টাকা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।