রণজিৎ রক্ষিত হল নামকরণে চেষ্টা থাকবে : প্যানেল মেয়র

35

বোধন আবৃত্তি স্কুলের দ্বিপঞ্চাশত্তম আবর্তনের (৫২) নবীন বরণ গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বোধন আবৃত্তি পরিষদের আহব্বায়ক আব্দুল হালিম দোভাষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চসিক প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী। অতিথি ছিলেন চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা অধ্যাপক সুমন বড়ুয়া, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাহিদুল কবির চৌধুরী।
শুরুতে সংগঠনের পথচলার তেত্রিশ বছরের ইতিহাস এবং বোধন আবৃত্তি স্কুলের প্রয়াত অধ্যক্ষ মৃণাল সরকার, অধ্যক্ষ রণজিৎ রক্ষিত, অধ্যক্ষ পঞ্চানন চৌধুরীর অবদান তুলে ধরে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। স্বাগত বক্তব্য দেন বোধনের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য আবৃত্তিশিল্পী প্রণব চৌধুরী।
তিনি বলেন, রণজিৎ রক্ষিত ছিলেন বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণের উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমরা সেই নক্ষত্রের আলোয় আলোকিত হয়ে এখনো আবৃত্তি শিল্পের প্রসারে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বোধন আবৃত্তি পরিষদের পক্ষ থেকে রণজিৎ রক্ষিতের শিক্ষক জীবনের কর্মক্ষেত্র চসিক মিউনিসিপ্যাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মিলনায়তনটিকে আবৃত্তি শিল্পী রণজিৎ রক্ষিতের নামে নামাংকিত করার প্রস্তাব দেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু বলেন, মৃণাল সরকার, রণজিৎ রক্ষিত ও পঞ্চানন চৌধুরী ছিলেন বোধনের পথচলার অন্যতম সঙ্গী। শিক্ষার্থীদের বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি এবং মনের সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত ও সৃজনশীল যোগ্য নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে বোধন কাজ করে যাচ্ছে।
বক্তব্যে সুমন বড়ুয়া বলেন, সভ্য সমাজ পরিবর্তন ও মনোজগতকে বিকশিত করা তথা শানিত চেতনাকে জাগ্রত করার জন্য আবৃত্তি অন্যতম শিল্প মাধ্যম। বোধন সেই উদ্দেশ্যে এগিয়েছে এবং আমি মুগ্ধ তাদের সফলতায়। শব্দ মানুষের মনের শুদ্ধ ভাবনাকে বিকশিত করে।
অধ্যক্ষ সাহিদুল কবির চৌধুরী বলেন, উচ্চারণের সমস্যা থেকে বেড়িয়ে আসতে, গণমানুষকে সুন্দর কন্ঠ ও শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলার চেষ্টায় যুক্ত করেছে বোধন। শিল্পের পথের যে গতিশীলতা, তা বৃদ্ধি করেছে বোধন।
প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, বোধন একটি ভালোবাসার নাম। শেখ মুজিবের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাংস্কৃতিক চর্চার ভূমিকা ব্যাপক। আমি নিজেই ছাত্র জীবনে সাংস্কৃতিক চর্চা করতাম। এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের। তাই আমাদের সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি করা উচিত। সমাজে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার না হয়েও যারা সাংস্কৃতিক চর্চা করে, তাদেরকে আমি ভালো বলি। কারণ তারা দেশের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে যায়। এই অডিটোরিয়ামকে ‘রণজিৎ রক্ষিত হল’ নামে নামকরণে আমার প্রচেষ্টা থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল হালিম দোভাষ বলেন, বোধন আবৃত্তি স্কুল বাংলাদেশে আবৃত্তি চর্চায় একটি যুগান্তকারী মাইলফলক হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শিমলা চক্রবর্তী, ঝলক কুমার শীল, সাগর চন্দ্র নাথ, সেতার রুদ্র। আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেবান্তিকা দে মুক্তি, ওসমান পারভেজ সোহাগ, জারিন সুভা, প্রনিতা দেব চৈতি, হিমানি মজুমদার, দারুল মোকাম পুষ্পা, দেবদ্যুতি চৌধুরী। অনুষ্ঠানে যশস্বী বণিক ও ইতু সাহার গ্রন্থনা এবং নির্দেশনায় বোধনের শিশু শিল্পীরা পরিবেশন করে ‘বঙ্গবন্ধু অতঃপর বাংলাদেশ’। নবীন বরণ অনুষ্ঠানটি ৫১তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের সার্বিক কর্মযজ্ঞে পরিচালিত হয়। বিজ্ঞপ্তি