রক্ত পরিবহনে ড্রোন

39

মার্কিন আকাশে এই প্রথম আকাশে সাধারণ মানুষের কাজে ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দিল দেশটির এভিয়েশন বিভাগ। হাসপাতালের সঙ্গে একসাথে হাত মিলিয়ে ইউপিএস এই ড্রোন ওড়াবে।
ইউপিএস এর ভাইস প্রেসিডেন্ট বালা গনেষ বলেন, ‘এই প্রথম ফেডারাল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশান নিয়মিত ড্রোন ওড়ানোর অনুমতি দিন। নিঃসন্দেহে এই ঘটনা ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে।’
হাসপাতাল থেকে রুগীর রক্তের নমুনা প্যাথোলজি ল্যাবে পাঠাতে এই ড্রোন ব্যবহার হবে। হাসপাতাতল বিল্ডিং থেকে প্যাথোলজি ল্যাবরেটরির দূরত্ব ০.৫ কি.মি.। সারা দিনে মোট ছয় বার এই রাস্তা যাতায়াত করবে একটি ড্রোন।
সপ্তাহে পাঁচ দিন এই ড্রোন পরিষেবা কাজ করবে। একটি সুরক্ষির বাক্সের মধ্যে রক্তের নমুনা রেখে লঞ্চ প্যাড থেকে এই বাক্স ড্রোনে সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে হাসপাতাল বিল্ডিং থেকে প্যাথলজিকাল ল্যাবরেটরি দেখা যায়। তাই এই ড্রোন ওড়াতে কোন সমস্যা হবে না। হাসপাতাল চত্বরে মানুষের উপর থেকে ড্রোন ওড়ানোর অনুমতিও মিলেছে বলে জানানো হয়েছে।
গাড়ি করে রক্ত নিয়ে গেলে অনেকটা বেশি সময় লেগে যায়। এর ফলে কিছু রক্ত পরীক্ষার ফল সঠিক হয় না। এর সময় কমাতেই ড্রোন ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন এই হাসপাতাল। আপাতত হাসপাতাল চত্বরের মধ্যে ড্রোন উড়লেও ভবিষ্যতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালের মধ্যে আদান প্রদানেও ড্রোন ব্যবহার হতে পারে। ২০১৯ সালের শেষেই সেই কাজ শুরু হতে পারে।