রক্তাক্ত শোকাবহ আগস্ট শুরু

70

মুহাম্মদ এনামুল হক মিঠু

শুরু হল শোকের মাস আগস্ট। এই মাসেই সপরিবারে হত্যা করা হয় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির অগ্রগতিকে থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। ৩৫ বছরের রাজনৈতিক জীবন। এই সময়ে তিনি একটি জনগোষ্ঠীকে জাতিক চেতনায় ঐক্যবদ্ধই শুধু করেননি, তাদের স্বাধীনতার, মুক্তির আকাক্সক্ষাকে ভাষা দিয়েছিলেন। সাহসে, শৌর্যে পরাধীনতাকে পেছনে ফেলেছেন। তবে আকস্মিক কিংবা অপ্রত্যাশিত নয়। তিনি এসেছিলেন বাংলার মাটি থেকে জেগে। ভালবেসেছিলেন মাটি আর মানুষকে। তিনি রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তবুও পঁচাত্তরে ঘাতকের বুলেট গর্জে উঠেছিল। সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে। এই মৃত্যুঞ্জয়ীর তিরোধান দিবস মিলেছে আগস্টে। এই মাস বেদনার হয়েও অফুরান শক্তি যোগায় বাঙালিকে। ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভারতের তৎকালীন র’এর প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রা গান্ধী বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীতে ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু তিনি বলেছিলেন, বাঙালিরা আমার ছেলের মতো। তারা আমার কোনো ক্ষতি করবে না। বাঙালিদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অনেক আস্থা ছিল। কিন্তু কিছু কুলাঙ্গার বাঙালি সেই আস্থার জায়গাটা রাখেনি। বাংলাদেশের সত্তার অন্বেষীয় বঙ্গবন্ধুকে পাওয়া যায় বাঙালির পরম আপনজন হিসাবে। তাইতো আজও নানাভাবে প্রাণিত করে বাঙালি জাতিকে। মৃত্যুর সাথে সাথে জাতির পিতা নতুন করে জন্ম নিয়েছেন বাঙালির অন্তরে। সেখানে প্রবলভাবে আলোড়িত করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়তই। আর এভাবেই তিনি বেঁচে থাকবেন শ্রদ্ধায় আর স্মরণে।

লেখক : প্রাবন্ধিক