রকি বড়ুয়াকে গ্রেফতার দাবিতে লোহাগাড়ায় সাংবাদিক সম্মেলন

84

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা বিবিবিলাস্থ বৌদ্ধ বিহার ভাংচুরের ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত সাজানো নাটক। গত ১ এপ্রিল মধ্যরাতে স্থানীয় রকি বড়ুয়ার বাড়ীতে ঢাকা থেকে এসে রাতভর গোপন বৈঠক করেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের শীর্ষ নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী’র পুত্র মাসুদ সাঈদী ও মাওলানা তারেক মনোয়ারসহ জামায়াতের অন্তত ১০/১২ নেতা। আর এ বৈঠকের পর থেকেই চরম্বার বিভিন্ন পুকুরে অন্যায়ভাবে রকি বড়ুয়ার বেপরোয়া মৎস্যনিধন, মৎস্যনিধনে প্রতিবাদ করায় পুকুর মালিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা এবং সর্বশেষ গত ৩ মে বিবিবিলার বৌদ্ধ বিহার ভাঙচুর করে সা¤প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে উল্টো স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের সবই একই সুত্রে গাঁথা-এমন দাবী লোহাগাড়া সম্মিলিত সচেতন নাগরিক সমাজের। গত ১০মে রবিবার বিকেল ৪টায় বটতলী শহর পরিচালনা কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমন দাবি করেন সংগঠনটির নেতারা। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিন। লিখিত বক্তব্যে আসহাব উদ্দিন জানান, জনৈক কৃষক মহিউদ্দিনের পুকুরে অবৈধভাবে জোরপূর্বক স্থানীয় রকি বড়ুয়া ও তার ক্যাডার বাহিনী কর্তৃক মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। ওইদিন মহিউদ্দিন পুকুরে মাছ ধরতে বাঁধা দিলে রকি বড়ুয়ার নেতৃত্বে মহিউদ্দিন ও তাঁর ওপর সন্ত্রাসী হামলা করে প্রায় ৫ ঘন্টা জিম্মি করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ জিম্মিদশা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় রকি বড়ুয়াসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। রকি বড়ুয়া নিজেকে বাঁচাতে সে নিজেই ভোর রাতে তার বাড়ীর নিকটস্থ বৌদ্ধ বিহারটি ভাংচুর করে মিথ্যা নাটক সাজায়। পরে তার বাবা জয়সেন বড়ুয়াকে বাদী করে চরম্বা আওয়ামী লীগ নেতা মো. জামাল উদ্দিন এবং মাওলানা হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৪ মে বৌদ্ধ বিহার ভাংচুরের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে বৌদ্ধ বিহার ভাংচুরের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে ভন্ড, প্রতারক ও সন্ত্রাসী রকি বড়ুয়া ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তম‚লক শাস্তির দাবী জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা বিজয় কুমার বড়ুয়া, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লোহাগাড়া শহর পরিচালনা কমিটির আহবায়ক সালাহ উদ্দিন হিরু, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিবাস দাশ সাগর, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার গোপাল বড়ুয়া, চরম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার শফিকুর রহমান, বড়হাতিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়ুয়া রোনা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক রিদওয়ানুল হক সুজন, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আবু ছালেহ, সাতকানিয়া-লোহাগাড়া বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক তুষার বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক টিপু বড়ুয়া, এনামুল হক প্রমুখ।