যে কারণে ১৯ বছর পর অপি করিমের ফেরা

57

দেশীয় শোবিজের সু-অভিনেত্রীদের একজন অপি করিম। তার মিষ্টি হাসি, মায়াবী চাহনি আর নিখাদ অভিনয়শৈলির মুগ্ধতায় হারিয়ে যাননি, এমন দর্শক খুঁজে পাওয়া ভার। যদিও তার বিরুদ্ধে সবার মধুর অভিযোগ, নিয়মিত কাজ করেন না। ছোটপর্দায় তাকে গেলো সাত-আট বছরেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আর বড় পর্দা তথা সিনেমায় শেষ অভিনয় করেছিলেন ২০০৪ সালে। অর্থাৎ ১৯ বছর আগে। প্রায় দুই দশক পর অপি প্রেক্ষাগৃহে আসছেন। শুক্রবার বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে একযোগে মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন ছবি ‘মায়ার জঞ্জাল’। কী ভেবে এতদিন পর সিনেমায় কাজ করলেন অপি? ছবির নির্মাতা ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী, সহশিল্পী ঋত্বিক চক্রবর্তী নাকি গল্প? নাকি যে চরিত্রে অপি অভিনয় করেছেন, সেই সোমার প্রেমে পড়ে? বিষয়টি পরিষ্কার করলেন অকপটে।
বললেন, “খুব একটা সোমার প্রেমে পড়ে কাজটি করিনি। সোমা যে ধরণের চরিত্র, তার থেকেও চ্যালেঞ্জিং চরিত্র আমি করেছি। আসলে ওই সময়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে জটিলতার মধ্যে ছিলাম। চাকরি, নিজের অসুস্থতা, বাবার অসুস্থতা, সবমিলিয়ে মনে হচ্ছিলো যদি হাঁফ ছেড়ে কোথাও গিয়ে বাঁচতে পারতাম। তখনই ইন্দ্রনীল দা’র কাজটির প্রস্তাব আসে। ওনার ‘ভালোবাসার শহর’ দেখেছিলাম, যেখানে জয়া আপা কাজ করেছেন। তো স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে কাজের ইচ্ছে ছিলো।
ছবিটা দেখতে দেখতেই মনে হয়েছিলো, আহারে আমি যদি ওনার সঙ্গে কাজ করতে পারতাম! আরেকটা বিষয়, আমি তো খুব কাজ করি না, যেহেতু এটা বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সমন্বিত কাজ। সেক্ষেত্রে এটা একটা সুযোগ।” তবে ‘মায়ার জঞ্জাল’-এ অপির যুক্ত হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ টলিউড অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী। অভিনেত্রীর স্পষ্ট কথা, “প্রধান আকর্ষণ তো ঋত্বিক। যেহেতু রেগুলার কাজ করি না। আবার কবে কখন ঋত্বিকের সঙ্গে একটা কাজের সুযোগ পাবো! সেই সঙ্গে গল্পটা খুব সুন্দর। তাই সোমা নয়, গল্পটাই আমাকে মুগ্ধ করেছে। এসব বিষয়ের যোগসূত্রেই ‘মায়ার জঞ্জাল’ করা।”