যে কারণে শাহ আলীর যাবজ্জীবন

12

তালাকের তথ্য গোপন করে সাবেক স্ত্রীর সঙ্গে আড়াই বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শাহ আলী নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে বাংলাদেশের শেরপুরের একটি আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আসামির অনুপস্থিতিতে ওই দন্ড ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের রায় দেয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে শেরপুর সদর উপজেলার মধ্য বয়ড়া গ্রামের এক নারীকে বিয়ে করেন অভিযুক্ত শাহ আলী। পরবর্তীতে স্বামী শাহ আলীর বিরুদ্ধে যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে মামলা করেন করেন তার স্ত্রী। কিন্তু সেই মামলায় ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্বামী শাহ আলী দাবি করেন, ২০১২ সালের ১৩ মে তিনি স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। সেই তালাকের কাগজপত্রও তিনি আদালতে জমা দেন। এরপর ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি শাহ আলীর বিরুদ্ধে তালাকের তথ্য গোপন রেখে আড়াই বছর ধরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার স্ত্রী।
সেই মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার শাহ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। সেই মামলায় শাহ আলী ছাড়া তার মা-বাবাকেও আসামি করা হয়। তবে রায়ে অপর তিনজনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার