যে কারণে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সৈকত-রাহি

33

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। এতে চমক হিসেবে ছিল আবু জায়েদ রাহি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নাম। টাইগারদের হয়ে কোনো ওয়ানডে না খেলা রাহিকে দলে নেয়ার প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচক বলেন, নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে সে টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিল, ওয়ানডে খেলার সুযোগ পায়নি। তবে সেই কন্ডিশনে আমরা যতটা দেখেছি যে ওর বোলিংয়ে যথেষ্ট সুইং আছে। আমাদের পেসারদের মধ্যে সুইং বোলারের সংখ্যা বেশ কম। যেহেতু ইংলিশ কন্ডিশনে খেলা, আয়ারল্যান্ডেও ত্রিদেশীয় সিরিজ আছে। আর মে এবং জুন মাসের দিকে ঠান্ডাও বেশি থাকে। তাপমাত্রাও অনেক কম থাকে। সেই হিসেবে পেসারদের মধ্যে সুইং বোলার কাউকে যদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারি তাহলে সেটি আমাদের জন্য প্লাস পয়েন্ট। সেই চিন্তা করে রাহিকে দলে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন পর সুযোগ পাওয়া সৈকতকে স্কোয়াডে রাখার বিষয়ে নান্নু বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেছে সে। আর আমরা একজন অলরাউন্ডার চাচ্ছিলাম যে অফ স্পিন করতে পারে। কারণ রিয়াদেরও একটি কাঁধের ইনজুরি আছে। তাই সে বোলিং নাও করতে পারে। সেই কথা চিন্তা করে যেন ব্যাকআপ হিসেবে একজন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার দরকার হয় তাই সৈকতকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে সৈকত বলেন, ঘুম থেকে ওঠার পর যখন শুনলাম তখন স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়েছি। আমারও একটা ধারনা ছিল হয়তো থাকতেও পারি নাও থাকতে পারি। শোনার পর অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটা অর্জন। ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ডের উইকেটে সুইং বিষয়ে রাহি বলেন, সেখানে বোলিং করা আমাদের জন্য আদর্শ বলতে গেলে। এসব দেশে বল সুইং করানো যায়। আর যেহেতু আমার মূল অস্ত্র সুইং, সুতরাং আমি বেশ আত্মবিশ্বাসী।
আগামী ৩ মে থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় মঞ্চের দ্বাদশ আসর। ১৯৯২ সালের আদলে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে হবে এবারের বিশ্বকাপ।