যে কারণে বাদ পড়লেন মাহমুদউল্লাহ

10

ক্রীড়া ডেস্ক

আলোচনাটা গত কয়েকদিন ধরেই হচ্ছিল। মাহমুদুল্লাহ বিশ্বকাপ দলে থাকবেন কি থাকবেন না তা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। এমন কি নির্বাচকদের পাঠানো দল যিনি স্বাক্ষর করে অনুমোদন করেন, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তিনিও মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
১৫ সদস্যের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল বুধবার ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে মাহমুদুল্লাহর নাম অনুমিতভাবেই কাটা পড়েছে। নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, দলের ভবিষ্যৎ চিন্তা থেকেই মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেয়া হয়েছে। দল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘মাহমুদউল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, সে আমাদের অনেক ভালো ভালো খেলা উপহার দিয়েছে। আমাদের বর্তমান যে টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট, তিনি এক বছরের যে পরিকল্পনা আমাদের দিয়েছেন, সেটা মাথায় রেখে আমরা এগোচ্ছি। সেই অনুযায়ী টিম ম্যানেজমেন্টের সবার সঙ্গে আলোচনা করে সকলের সম্মতিতে মাহমুদউল্লাহকে বাইরে রাখা হয়েছে।’
দলের নীতিনির্ধারকদের সবার সম্মতিতেই মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন, ‘সবার সম্মতিক্রমে রিয়াদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সবার সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে। সাকিব তো এশিয়া কাপ থেকেই অধিনায়ক। টিম ম্যানেজমেন্টের সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ এশিয়া কাপে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট দলের প্রয়োজন মেটাতে পারেননি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২৭ বলে ২৫ করে আউট হন দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২২ বলে ২৫ রান করেছেন। এর আগে দীর্ঘদিনই তার ব্যাট হাসেনি। দ্রæত রান তুলতে পারেননি। ব্যাট থেকে বাউন্ডারির ফুলঝুরিও ছোটেনি। তাইতো দল থেকে তাকে বাদ দিতে বেশি ভাবতে হয়নি নির্বাচকদের। গত বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহর কাঁধে ছিল জাতীয় দলের নেতৃত্ব। এক বছরের ব্যবধানে আরেকটি বিশ্বকাপে নেই তিনি। তার জাতীয় দলের দরকার কি চিরতরে বন্ধ হয়ে গেল কিনা এমন প্রশ্নও উঠেছিল। মিনহাজুল উত্তর না দিয়ে পাশে থাকা আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশারকে পাস করেছিলেন। হাবিবুল উত্তর দিয়েছেন এভাবে, ‘অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যে কোনো খেলোয়াড়ের জাতীয় দলে খেলার সম্ভাবনা সব সময় থাকে।’