টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। তারা হলেন, জাদিমুরা শরণার্থী শিবিরের মোহাম্মদ শাহ ও মো. শুক্কুর। তবে পুলিশের দাবি, দু’জনই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি। গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আনার সময় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিলেন।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিরা জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থান করছে এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে তারা পিছু হটলে সেখান থেকে দুই রোহিঙ্গাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক দু’জনকে কক্সবাজার সদরে পাঠান। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শোভন দাস জানান, রাতে পুলিশ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ
দুই রোহিঙ্গাকে নিয়ে আসেন। দু’জনের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।