যুবলীগ কর্মীকে নির্যাতন ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ১

38

নগরের আকবরশাহ থানাধীন বিশ্বকলোনী এলাকায় মো. মহসিন (২৬) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার ভোররাতে অলংকার মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার আসামির নাম মোশাররফ হোসেন তুহিন (২১)। মোশাররফ হোসেন তুহিন মামলার এজাহারনামীয় ৬ নম্বর আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।-খবর বাংলানিউজের
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, মহসিনকে মারধরের ঘটনায় মোশাররফ হোসেন তুহিন নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গত ৩০ জুন বিকেলে আকবরশাহ থানার বিশ্বকলোনী এন বøকে যুবলীগ কর্মী মো. মহসিনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে প্রতিপক্ষের লোকজন।
মারধরের শিকার মহসিন বিশ্বকলোনী এম বøকের বাসিন্দা। তিনি উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার মোর্শেদ কচির অনুসারী বলে জানা গেছে। মহসিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলায় জড়িতরা উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্থানীয় কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের অনুসারী বলে জানা গেছে।
মারধরের ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ দেখা যায়, দাঁড়িয়ে থাকা মহসিনকে অতর্কিত এসে মারধর শুরু করে ১২-১৫ জনের একটি দল। মহসিন তাদের কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে চারপাশ থেকে ঘিরে রড ও লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে তারা। পরে মারা গেছে ভেবে মহসিনকে ফেলে রেখে যায়। মারধরের সময় এদের মধ্যে একজন মহসিনের পা ধরে রাখে। ওই যুবকের নাম চৌধুরী জুয়েল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। জুয়েলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ভিডিও ফুটেজ দেখে তুহিন, রাব্বী, পারভেজ, ফারহান ও খোকন নামে আরও কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২৯ জুন রাতে সরওয়ার মোর্শেদ কচি গ্রুপের কর্মী মামুনকে মারধর করে কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের অনুসারী বেলাল উদ্দিন জুয়েল ও তার সঙ্গীরা। পরে মামুনের বন্ধুরা গিয়ে বেলাল উদ্দিন জুয়েলকে তার ঘরে ঢুকে মারধর করে।