লিউনা হক ইরাকের মসুল শহরে একটি বোমাবিধ্বস্ত কারখানায় এক কর্মশালায় যোগ দিতে আরো অসংখ্য নারীর সঙ্গে যোগ দিতে এসেছেন নাজলা আবদেলরহমান নামে এক নারী। জীবন রক্ষা করতে গার্মেন্টসের কাজকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরূদ্ধে যুদ্ধে স্বামীকে হারিয়েছেন তিন সন্তানের মা নাজলা। একসময় মসুল শহর দখলে নিয়েছিল আইএস। তারা এ শহরকে তাদের স্বঘোষিত খিলাফতের কেন্দ্র হিসেবেও ঘোষণা করেছিল। পরবর্তী সময়ে ২০১৭ সালের গ্রীষ্মে দেশটির সরকারি বাহিনী শহরটি পুনরূদ্ধার করে। আইএসের সঙ্গে যুদ্ধে মসুলের বাড়িও হারিয়েছেন নাজলা। প্রতিদিন কাজে যেতেই তার বেতনের অর্ধেক ব্যয় হয়ে যায়। অন্য সহকর্মীদের মতো তিনিও তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী।
মসুল শহরের বেশির ভাগ জায়গা যুদ্ধে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব মাইগ্রেশন শহরটির একটি অংশ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এখানেই হাজার খানেক মানুষের বসবাস। এখানকার প্রায় ১৫০ জন মানুষ বর্তমানে জীবিকার তাগিদে কাজ করছে, যাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী।
পোশাক কারখানাটির প্রধান নাথেম সুলতান বলেন, এখানে যে পারিশ্রমিক দেয়া হয়, তা হয়তো সবসময় যথেষ্ট নয়। এ পারিশ্রমিকে হয়তো তাদের খাবারও ঠিকমতো জোটে না। কিন্তু বেঁচে থাকার এছাড়া আর অন্য উপায় নেই।
মসুলের বেশির ভাগ অধিবাসী আর্থিক সংকটের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছে। যেসব পরিবার বাড়ি তৈরি করেছে, তাদের ঋণের বোঝা টানতে হচ্ছে। অন্যদিকে যাদের বাড়ি নেই, বাড়ি ভাড়া দিতে গিয়ে তাদের উপার্জনের বেশির ভাগ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।