যুক্তরাষ্ট্র থেকে কফিনে ফিরল মুহিতের স্বপ্ন

15

রাউজান প্রতিনিধি

যুক্তরাষ্ট্রে একবুক স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা করেছিলেন রাউজানের বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে মুহিত। যুক্তরাষ্ট্রে স্কলারশিপ নিয়ে পাড়ি জমানো মুহিত একের পর এক কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে বাবা-মাকে আশাও জাগিয়েছিলেন। সেখানকার বোস্টন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে পড়াশোনার সুযোগ পান মুহিতুল ইসলাম। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশে ফিরে চাকরি নিয়ে বাবা-মাকে সুখে রাখার স্বপ্ন ছিল তার। কিন্তু নিমিষেই সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার! মুহিত ঠিকই দেশে ফিরেছেন। তবে জীবিত নয়, কফিন বন্দী লাশ হয়ে।
গতকাল সোমবার সকালে একটি ফ্লাইটযোগে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হয়ে তার মরদেহ দেশে পৌঁছায়। তার মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স রাউজানে প্রবেশ করলে বাবা-মাসহ স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে পরিবেশ।
সোমবার দুপুর ২ টায় রাউজান দারুল ইসলাম ফাযিল মাদ্রাসা মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, জাতীয় পার্টির নেতা মেজবাহ উদ্দিন আকবরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। বাবার কাঁধে ছেলের লাশ কত ভারী, পুত্রহারা মুহিতের বাবা সাবেক ছাত্রনেতা আবু মাসুদ আজাদের দিকে তাকিয়ে অনুভব করেছেন অনেকেই।
মুহিতের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, তরুণ রাজনীতিবিদ ফারাজ করিম চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত একুশে ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত মুহিতকে ভর্তি করা হয় জর্জ ওয়াশিংটন হাসপাতালে। সেখানে ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন মুহিত। নিহত মুহিতুল ইসলাম রাউজান পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিরঘাটা আবদুল মালেক পোস্ট মাস্টার বাড়ি প্রকাশ দিদার মঞ্জিল বাড়ির সাবেক ছাত্রনেতা আবু মাসুদ আজাদের ছেলে। এক ভাই এক বোনের মধ্যে মুহিত ছোট ছিলেন।