যুক্তরাষ্ট্র-চীনের উত্তেজনার মধ্যে দক্ষিণ চীন সাগরে রণতরী

38

দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের শক্তির জানান দিতে ইউএসএস রোনাল্ড রিগান বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রণতরীটির সঙ্গে মিসাইল বিধ্বংসী অত্যাধুনিক সরঞ্জামও রয়েছে। নিয়মিত মহড়ার অংশ হিসেবেই জাহাজটিকে পাঠানোর কথা জানিয়েছে মার্কিন নৌ বাহিনী। ওয়াশিংটন-বেইজিং-এর উত্তেজনার মধ্যেই বিতর্কিত অঞ্চলে এমন পদক্ষেপ নিলো।
দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতিকে ওই অঞ্চলের শান্তি বা স্থিতিশীলতা বাড়তে সহায়তা করবে না বলে আপত্তি জানিয়েছে বেইজিং। এদিকে ১৫ জুন মার্কিন নৌ বাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, অবস্থান করা জাহাজটি সামুদ্রিক সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর নিয়মিত উপস্থিতির অংশ’। গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করে চলছে। সেখানে একটি কৃত্রিম দ্বীপ এবং বিমান ঘাঁটিও তৈরি করেছে। শুধু তাই নয় সেখানে সামরিক উপস্থিতির বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম বসিয়েছে। মৎস্য সম্পদসহ খনিজ আহরণের গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে বছরে প্রায় ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবহন হয়ে থাকে। পুরো সমুদ্রপথকে নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি করে চীন। তবে আরও কয়েকটি দেশও ওই অঞ্চলের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে। দেশগুলো হচ্ছে মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম। তারা। চীনের দখলে থাকলেও প্যারাসেল এবং স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা দাবি করে আসছে ভিয়েতনাম এবং ফিলিপাইন। স্কারবারা চর নামে সামরিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি চরের মালিকানা নিয়ে চীন ও ফিলিপাইনের বিরোধ বহুদিনের। যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে মালিকানা দাবি না করলেও আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথ হিসেবে দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ধরে রাখতে চায় দেশটি। আর নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সে তৎপরতা আরও জোরালো করেছে।