যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে ঢুকে গুলি, নিহত ৪

2

পূর্বদেশ ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার টুলসায় অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি হাসপাতালে ঢুকে গুলি চালিয়ে ৪ জনকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। টুলসা পুলিশের উপপ্রধান এরিক ডালগ্লেইস সাংবাদিকদের জানান, গুলির খবর পাওয়ার তিন মিনিটের মাথায় পুলিশ সেইন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতালে পৌঁছায়, তাতে হতাহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়া এড়ানো গেছে।
গত বুধবার হাসপাতালটির নাটালি ভবনে এই গুলির ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পুলিশ সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা করছে,তার বয়স ৩৫ থেকে ৪০ এর মধ্যে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাটালি ভবনে একটি অর্থোপেডিক সেন্টার ও চিকিৎসকদের কার্যালয় অবস্থিত। নিহতরা সেখানকার কর্মী ও রোগী হতে পারে বলে অনুমান করছেন ডালগ্লেইস। ওকলাহোমায় এ গুলির ঘটনা প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
৪ লাখ ১১ হাজার বাসিন্দার টুলসা রাজ্যের রাজধানী ওকলাহোমা সিটির ১৬০ কিলোমিটার উত্তরপূর্ব দিকে অবস্থিত।
গত সপ্তাহে টেক্সাসের একটি প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে এক বন্দুকধারীর নির্বিচারে চালানো গুলিতে ১৯ শিশু ও দুই শিক্ষক নিহতের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। ওই ঘটনায় শ্রেণিকক্ষে ঢুকে বন্দুকধারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ কর্মকর্তারা প্রায় এক ঘণ্টার মতো দেরি করেছিলেন।
টেক্সাসের স্কুলে গুলির ঘটনার পর বন্দুকধারীদের ব্যাপারে পুলিশের চিন্তা ও প্রশিক্ষণে পরিবর্তন এসেছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ডালগ্লেইস বলেন, ‘আমার মনে হয় ওই ঘটনা এখনও সবার মনেই তাজা। টুলসায় আমাদের কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা যা জানি, তাতে আমি বেশ খুশি’।
টেক্সাসের ঘটনার দুই সপ্তাহ আগে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী এক বন্দুকধারী নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে কৃষ্ণাঙ্গ অধ্যুষিত এক এলাকায় সুপারমার্কেটে গুলি চালিয়ে ১০ জনকে মেরে ফেলে। এসব ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন করা নিয়েও বিতর্ক উসকে দিয়েছে।
দেশটিতে আইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার সুযোগ প্রায় অবাধ বলে ৩২ কোটি নাগরিকের হাতে ৩৯ কোটি আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে; বিভিন্ন সময়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণের দাবি উঠলেও অস্ত্র নির্মাতাদের চাপে তাতে কোনো পরিবর্তন আনা যায়নি। খবর বিডিনিউজের