যুক্তরাজ্য থেকে রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করল মিয়ানমার

19

ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চির মুক্তি দাবি ও সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বলায় মিয়ানমার তাদের যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কেয়াও জোয়ার মিন বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার দেশ এরই মধ্যে ‘বিভক্ত’ হয়ে পড়েছে এবং গৃহযুদ্ধের ঝুঁকিতে আছে বলে মন্তব্য করেছিলেন। গত বছর নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত ১ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটির ক্ষমতা দখল করে। ওই নির্বাচনে সু চির দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর করা কারচুপির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অভ্যুত্থানের পাশাপাশি ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সু চিসহ গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিকদের আটকও করে। সোমবার যুক্তরাজ্যে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত জোয়ার মিন এক বিবৃতিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং অং সান সু চিকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব পরে মিনের এ ‘সাহসী ও দেশপ্রেমিক’ অবস্থানের প্রশংসা করেন। বিবিসিকে দেওয়ার এক সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনীর সাবেক কর্নেল কেয়াও জোয়ার মিন বলেন, মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে দেখার পর তিনি বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। “মিয়ানমারের নাগরিকরা মারা যাচ্ছে এমনটা দেখতে চাই না আমি। আমি সবাইকে (বিক্ষোভকারী ও সেনাবাহিনী) থামতে বলছি। আমাদের দেশ এমনিতেই বিভক্ত এবং সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধের ঝুঁকিতে আছে। আমি শান্তি চাই,” বলেন তিনি। জোয়ার মিন ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী সু চিকে মুক্তি দেওয়ার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন। “সু চিই আমাকে নিয়োগ দিয়েছিলেন, আমি তার আদেশই শুনবো। আমি তার ও প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্টের মুক্তি দাবি করছি। এ সংকটের সমাধান নিউ ইয়র্ক বা লন্ডনে নেই, সমাধান আছে নেপিডোতে,” বলেন তিনি।