যানজটে জান যায় যায়!

26

ওয়াসিম আহমেদ

নতুন ব্রিজ, নিউ মার্কেট এলাকা, আন্দরকিল্লা, নন্দনকানন থেকে কাজির দেউড়ি, সিরাজুদ্দোলা রোড হয়ে চকবাজার, বহদ্দারহাট এলাকায় বিকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি যানজট। কেবল এসব এলাকাই নয় নগরজুড়ে যানজটে জান যায় যায় অবস্থা পথ চলতি মানুষের। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে শহরমুখি মানুষ, পূজা উপলক্ষ্যে সন্ধ্যার পর শপিং করতে বের হওয়া আর উৎসুক মানুষের বেসামাল চলাচলে গাড়ির চাপ অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সড়কে। যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের। গতকাল শনিবার সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনে এমন দৃশ্যের দেখা মিলে।
তবে আজ (রোববার) থেকে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়োগ করা হবে। যানজটপ্রবণ এলাকায় থাকবেন বাড়তি পুলিশ সদস্য। পূর্বদেশকে এমনই তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দিন।
জ্যামে থমকে আছে আন্দরকিল্লা মোড়। হামাগুড়ির গতিতে চলছে গাড়ি। চালক-যাত্রীর মুখে বিরক্তির ছাপ। সার্জেন্টের নেতৃত্বে যানজট মুক্ত করার চেষ্টা করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। শত শত যানের জটে চারজন পুলিশের এমন চেষ্টা আলো ছড়াতে পারছে না। মোড়ের যানজট ছড়িয়েছে চেরাগী পাহাড়, জেএমসেন হল রোড থেকে জামালখান মোড় পর্যন্ত। আবার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে নন্দনকানন, কাজির দেউড়ি এলাকায় যানজট আরও ভয়াবহ। যানজটে হঠাৎ-ই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নগরজীবন।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) সন্তোষ ধামাই পূর্বদেশকে বলেন, বিকালের পর থেকে অস্বাভাবিক যানজট দেখা দিয়েছে। আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। তবুও সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি মানুষকে যানজট মুক্ত রাখতে। পূজা উপলক্ষ্যে সড়কে মানুষের চাপ বেড়েছে। শপিংয়ে শুরু হওয়ায় যানজট বাড়ছে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন লকডাউন থেকে মুক্ত হওয়ার পর মানুষ এমনিতে গাড়ি নিয়ে বেশি বের হয়। তার উপর সাপ্তাহিক ছুটি শেষে মানুষ শহরমুখি হচ্ছেন। সবমিলিয়ে গতকাল গাড়ির অস্বাভাবিক চাপ ছিল সড়কে।
চকবাজার এলাকায় শপিংমলগুলো ঘিরে মানুষের ভিড়। চারপাশের বাইপাস সড়কগুলোতেও যানজট। কোনোভাবে চলাচল করা যাচ্ছে না। অনেকে বিরক্ত হয়ে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটেছেন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। দুই নম্বর গেটের জয়বাংলা উদ্যান ঘিরেও যানজট দেখা গিয়েছে। জিইসি মোড় থেকে মুরাদপুর-বহদ্দারহাট সড়কে ছিল অস্বাভাবিক যানজট।যানজটপ্রবণ এলাকায় বাড়তি পুলিশ নিয়োগ করার কথা জানিয়ে উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এন এম নাসিরুদ্দিন পূর্বদেশকে বলেন, আমাদের জনবল সীমিত। পূজা উপলক্ষ্যে সড়কে গাড়ির চাপ বাড়ায় বিকালে ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয়। আগামীকাল (রোববার) থেকে যেসব পুলিশ সদস্য বিকালের শিফটে বিশ্রামে থাকেন, তাদের থেকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্যকে ডিউটি করানো হবে।