যানজটে ‘জান যায়’ অবস্থা ইফতারের আগ মুহূর্তে

4

নিজস্ব প্রতিবেদক

রবিবার বিকাল সাড়ে চারটা। ঘরমুখো মানুষ। কর্মস্থল থেকে ফিরছেন তারা। তাদের বেশিরভাগই ইফতারের দোকানে ভিড় করছেন। ফুটপাত ছাড়িয়ে রাস্তায় ইফতারের পসরা সাজিয়েছেন অনেকে। চিরায়ত ফুটপাত দখল ও যাচ্ছেতাই অবস্থায় গাড়ি পার্কিং আছেই। এতে সড়কে সৃষ্টি হয় যানজট। ইফতারের ঘণ্টা-দেড়ঘণ্টা আগে এ যানজটে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে মানুষ। তৈরি হয় ‘জান যায়’ অবস্থা।
গত মাস-ছয়েক ধরে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে চসিক’র পরিচ্ছন্ন বিভাগকে দায়িত্ব দিয়েছেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। মশক নিধন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে বিভাগটি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও উচ্ছেদ কার্যক্রমে বেশ সাড়া ফেলেছে। এমনকি একটি সড়কে তিনবারেরও বেশি উচ্ছেদ অভিযান চালায় পরিচ্ছন্ন বিভাগ। কিন্তু দিনশেষে ফলাফল শূন্যের কোটায়। যেন সব চেষ্টাই বৃথা যাচ্ছে। দিনশেষে ফুটপাত ছাড়িয়ে রাস্তা দখলে যাচ্ছে দখলদারদের। ফলে সংকীর্ণ সড়কে প্রায় সময় যানজট লেগে থাকে। এরপর মানুষের চাপ বাড়লে অচল হয়ে পড়ে নগরীর রাস্তাগুলো।
গতকাল নগরীর বিভিন্ন সড়কে সরেজমিন দেখা যায়, বিকাল ৪টার পর থেকে মোড়গুলোকে ঘিরে বাইপাস সড়ক পর্যন্ত যানজট লেগে থাকছে। অনেককে রাস্তায় ইফতার সারতে হচ্ছে। রমজান উপলক্ষে প্রায় প্রতিটি খাবারের দোকান ফুটপাত দখল করে ইফতারি বিক্রি করছে। ভাসমান হকারের সংখ্যা অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেড়েছে। যার কারণে যানজটের সময়সীমা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন পথচারী।
মুরাদপুর এলাকায় যানজটে আটকা থাকা অবস্থায় হায়দার ইসলাম পূর্বদেশকে বলেন, আমি ইফতারি নিয়ে বাসায় যাচ্ছি। এগুলো দিয়ে আবার অফিসে ফিরতে হবে। ১০ মিনিটের রাস্তায় যানজটে আটকা পড়ি এক ঘণ্টার কাছাকাছি। এভাবে তো চলতে পারে না। মানুষের তো সময়ের গুরুত্ব আছে। ট্রাফিক পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে অন্তত রমজান মাসে যানজট মুক্ত রাখার আহŸান জানান হায়দার ইসলাম।
যানজট নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞতা থেকে ট্রাফিক সার্জেন্ট আমজাদ হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, ইফতারের আগে যানজট হয়। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তখন একসাথে মানুষ বের হয়। তাই একটু যানজট হয়। আমরা স্যারদের নির্দেশনায় সার্বক্ষণিক প্রচেষ্টা চালায় যানজট যাতে না হয়। টাইগারপাস সড়কে কাজ চলছে, বড় কোনো ইফতার মাহফিল থাকলে ওই এলাকায় যানজট হয়। একেতো মানুষ সচেতন না, তার উপর চালকরা অধৈর্য্য হয়ে যান। সব মেনে নিয়ে আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নির্বিকারভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যাতে মানুষ অন্তত বাসায় গিয়ে ইফতারটা করতে পারে।