যাদের ময়লা তাদের গেটেই

27

 

বর্জ্য রাখার জন্য স্থান না রেখে মিরপুর-৩ নম্বর সেকশনে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য একটি আবাসন প্রকল্প তৈরি করা হয়। ফলে ওই প্রকল্প এলাকার গৃহস্থালীর বর্জ্য প্রকল্পের সামনের রাস্তায় ফেলে আসতেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে ক্ষুব্ধ হন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। গতকাল সোমবার এ নিয়ে ঘটান এক ভিন্ন ঘটনা।
প্রকল্প এলাকার ওই সব বর্জ্য সড়কের পাশে ছড়ানো ছিটানো পড়ে থাকতে দেখতে পান মেয়র। তিনি সেগুলো প্রকল্পের মূল ফটকে ফেলে আসতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পরে সংস্থার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা যন্ত্র দিয়ে সেই বর্জ্য সংগ্রহ করে প্রকল্পটির মূল ফটকে রেখে আসেন। গতকাল সোমবার থেকে কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) শুরু হয়েছে। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম সোমবার সাগুপ্তা খাল এলাকা পরিদর্শনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু করেন। পরে মিরপুর-৩ নম্বর সেকশনের এই পথ পরিদর্শনের সময় গৃহস্থালীর বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বর্জ্য অপসারণের পর মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনও ব্যবস্থা নেই। দীর্ঘদিন ধরে তারা এই বর্জ্য রাস্তায় ফেলছেন। এতে নগরের পরিবেশ নোংরা হচ্ছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই আবাসনে ৬০০টির বেশি পরিবার বাস করে। কিন্তু সরকারের যে সংস্থা এই আবাসন করেছে, তারা বর্জ্য রাখার জন্য কোনও জায়গায় রাখেনি। এখন তারা জায়গা দিলে এসটিএস নির্মাণ করে দেবে ডিএনসিসি। তারপরও এই শহর নোংরা করতে দেওয়া হবে না।’
গতকাল সোমবার থেকে আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত (শুক্রবার ব্যতীত) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় কিউলেক্স মশা নিধনে সমন্বিত অভিযান (ক্রাশ প্রোগ্রাম) শুরু হয়েছে। এই ক্রাশ প্রোগ্রামে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের সব মশকনিধন কর্মী এবং যান ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে একটি অঞ্চলে নিয়ে একদিন করে মশকনিধন অভিযান পরিচালনা করা হবে। খবর বাংলা ট্রিবিউনের
প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং এবং বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এডাল্টিসাইডিং করা হবে। পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা অভিযানও চলবে। ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও প্রকৌশল বিভাগের সমন্বয়ে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।