যন্ত্রপাতির অভাব, বিকল্পতেই ফিটনেসের কাজ জাহানারার

31

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রভাবে স্থবির পুরো বিশ্বক্রীড়াঙ্গন। মাঠে খেলা না থাকায় ক্রীড়াবিদদের ফিটনেসজনিত সমস্যা প্রকট হচ্ছে। যদিও নির্দেশনার মাধ্যমে তাদের ফিটনেস ধরে রাখার নানা কৌশলও বাতলে দেওয়া হচ্ছে। যেন বাসায় বসেই ফিটনেস ধরে রাখা যায়। নারী দলের পেসার জাহানারা আলম বিসিবির দেওয়া নির্দেশনা মেনে কাজ করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ঘরে আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতির অভাবে তা পুরোপুরি মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না তার। তবুও থেমে নেই তিনি। ঘরে যা আছে, তাই নিয়েই নিজের কাজটা করে যাচ্ছেন। শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক পেজে বেশ কিছু ভিডিও আপলোড করেছেন। বাসার অনেক আসবাবপত্রকে ব্যায়ামের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। টেড্রমিল না থাকায় বাসার সিঁড়ি ব্যবহার করছেন।
এই ফিটনেস ধরে রাখার বিকল্প কৌশল নিয়ে জাহানারা বলেছেন, ‘বদ্ধ জায়গাতে সঠিকভাবে ফিটনেস ধরে রাখা প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের জন্য কঠিন। ফিটনেস ছাড়া আসলে একজন ক্রীড়াবিদের কোন স্কিলেরই মূল্য নেই। ফিটনেস ঠিক থাকলে গ্যাপ দিয়ে হলেও স্কিল অনুশীলন করা যায়। কিন্তু এই অবস্থায় আমাদের জন্য ফিটনেস ধরে রাখাটা খুব কঠিন।’ তার পরেও কষ্ট করে যতটুকু পারা যায় সেই চেষ্টাটা করছেন জাহানারা। প্রতিকূলতা থাকলেও বিকল্পতেই কাজগুলো সেরে নিচ্ছেন, ‘তারপরও আমরা চেষ্টা করছি। যাদের বাসায় জিমের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা আছে, তাদের হয়তো খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু আমার বাসায় সেই সুবিধা নেই। কেবল ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজগুলো করছি। যদি জীবন ঠিক থাকে, ইনশাল্লাহ একটু বেশি পরিশ্রম করে সেটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’ ক্রিকেটারদের ফিট রাখতে বিসিবি ১০টি নির্দেশনা দিয়েছিল। জাহানারা সেগুলো পুরোপুরি অনুসরণ করতে পারছেন না রানিং মেশিন না থাকায়। টানা ঘরে বন্দি হয়ে থাকতে থাকতে অস্বস্তি-ই লাগছে। তার পরেও দেশের ভালোর জন্য ঘরেই আছেন।