যতটুকু চেয়েছি পুরোটাই পেয়েছি : অবন্তী সিঁথি

82

ছলছল চোখে রোববার অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নিলেন ‘কাপ সং’ দিয়ে কলকাতার জি-বাংলায় জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’ মাতানো জামালপুরের মেয়ে অবন্তী সিঁথি। রোববার জি-বাংলায় প্রচারিত পর্বে সেরা তিন প্রতিযোগীর লড়াই থেকে ছিটকে পড়েন সিঁথি। এতে তিনি প্রয়াত সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দীকীর ‘আমি একটা জিন্দা লাশ’ পরিবেশন করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ‘সারেগামাপা’র সঙ্গে সম্পর্ক চুকেবুকে যাওয়ার পর রিয়েলিটি শো’টির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “দারুণ একটি প্ল্যাটফর্ম পেয়ছিলাম। জার্নিটা চমৎকার ছিল। যতটুকু চেয়েছি পুরোটাই পেয়েছি।” তবে তিনি আশা করছেন, আরো কিছুদিন সেখানে থাকতে পারলে আরো কিছু শিখতে পারতেন। অনুষ্ঠানে এর আগে কিশোর কুমারের ‘আকাশ কেন ডাকে’ শিরোনামে গান পরিবেশন করে দুই বাংলার শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নেন। গানের সঙ্গে দু’টি কাপের তালে ও শিস বাজিয়ে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছিলেন; তাকে ঘিরে নিজেদের মুগ্ধতার কথা শুনিয়েছিলেন বিচারক শ্রীকান্ত আচার্য, শান্তনু মৈত্র, কৌশিকী চক্রবর্তী, মোনালী ঠাকুর ও পন্ডিত তন্ময় বোস। আরেক বিচারক পন্ডিত তন্ময় বোস সিঁথিকে ‘শিস প্রিয়া’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ‘শিস প্রিয়া জিন্দাবাদ’ বলেও উৎসাহিত করেন তরুণ এ শিল্পীকে। আগে ঢাকার সংগীতাঙ্গনে একটু-আধটু পরিচিতি থাকলেও কলকাতার এ রিয়েলিটি শো’র কল্যাণে আলোচনায় উঠে আসা এ শিল্পী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এ রিয়েলিটি শো’তে ‘বড় মানুষদের সান্নিধ্য’ পাওয়াকেই জার্নির সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন তিনি; বললেন, “জীবনের সেরা গ্রুমিংটা পেয়েছি। শুধু গান নয়, পুরো লাইফস্টাইলের উপর।”
দুই বাংলায় সংগীত জগতের মধ্যে ‘আকাশ-পাতালের পার্থক্য’ দেখেছেন জানিয়ে এ শিল্পী বলেন, “দেশে সেভাবে গানটা শেখার সুযোগ হয়নি। শুধু বেসিক জিনিসগুলো শিখেছিলাম। ওখানে গিয়ে নতুন নতুন অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।” অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারি করে কলকাতা থেকে ইতোমধ্যে ঢাকায় ফিরেছেন; ক্যারিয়ার হিসেবে শিক্ষকতার পাশাপাশি গানটা নিয়েও আলাদাভাবে পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি।