ম্যাজিক লাইটের লোভ দেখিয়ে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ

11

সীতাকুন্ড প্রতিনিধি

সীতাকুন্ডে ম্যাজিক লাইট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৯ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. শাহীন (১৯) নামে এক ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ধর্ষক মো. শাহীন উপজেলার বাড়বকুন্ড ইউনিয়নের ইয়াছিন নগর এলাকার নেজাম উদ্দিনের পুত্র।
র‌্যাব জানায়, গত ২৩ মার্চ ওই শিশু ছাত্রীর বাবা-মা প্রতিদিনের মত কাজে চলে যায়। মাদরাসায় ক্লাস শেষে দুপুর ২টার দিকে শিশুটি ঘরে ফিরে আসে। এ সময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে মো. শাহীন তাকে নানা প্রলোভন ও ম্যাজিক লাইট দেওয়ার কথা বলে নিজ ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে শাহীন পালিয়ে যায়। পরে তারা বিষয়টি শিশুটির পিতাকে জানালে তিনি সীতাকুন্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠান। বর্তমানে শিশুটি ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর পিতা গত ২৭ মার্চ সীতাকুন্ড মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্ত মো. শাহীন বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিল। তাকে গ্রেপ্তারে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার সন্ধ্যার দিকে জোরারগঞ্জ থানার বারৈয়ারহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নুরুল আবছার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিন শিশুটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। আমরা অভিযুক্ত ধর্ষককে সীতাকুন্ড থানায় হস্তান্তর করেছি।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গতকাল বুধবার রাতেই র‌্যাব অভিযুক্ত আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেন। আমরা বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি।