ম্যাচিং ফান্ডের ৬৩০ কোটি টাকা মওকুফ চান সুজন

46

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ম্যাচিং ফান্ড ৬৩২ কোটি ১৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা মওকুফ চান সংস্থাটির প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালউদ্দিন আহমেদ বরাবরে পৃথক চাহিদাপত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একটি নাগরিক সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। একজন নাগরিকের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা সিটি কর্পোরেশনের মূল দায়িত্ব। দূষণমুক্ত, যানজটমুক্ত, পরিচ্ছন্ন একটি আধুনিক উন্নত নগর গঠন ও নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ সকল প্রতিজ্ঞা পূরণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ইতোমধ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যা বর্তমানে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি চসিকের আর্থিক অসক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলেন, নিজস্ব রাজস্ব এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে সরকার থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ দিয়ে উন্নত নাগরিক সেবা প্রদান নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না। মহাসড়ক, সড়ক, নর্দমা, রাস্তা, মেরামত/সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখা, মশক নিধন এবং সর্বত্র আলোকায়ন নিশ্চিত করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল কর্মযজ্ঞ। এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদনের জন্য প্রাপ্ত অর্থ খুবই অপ্রতুল।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, আর্থিক দৈন্যতার কারণে নাগরিক সেবার মান নাগরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বৃদ্ধি করা সম্ভব হচ্ছে না। কর্পোরেশনের নিজস্ব রাজস্ব আয়ের স্বল্পতার কারণে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দের বিপরীতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ম্যাচিং ফান্ড নিশ্চিত করা খুবই কঠিন। এছাড়া এক সময় নগর শুল্ক থেকে প্রাপ্ত আয় ছিল অন্যতম প্রধান রাজস্ব। কিন্তু আশির দশকে সরকার সেটি বন্ধ করে দিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালিত আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় প্রসারের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আমদানি-রপ্তানি কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে সড়ক মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে সিটি কর্পোরেশন প্রচুর অর্থ ব্যয় করে থাকে। এ ছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনুতোষিক বাবদ প্রায় ৮৩০ কোটি টাকা’র বিশাল অর্থ ঘাটতির বোঝা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।