মোহাম্মদপুরবাসীর জন্য গলার কাঁটা বঙ্গবন্ধু টানেলের আন্ডারপাস

17

আনোয়ারা প্রতিনিধি

বঙ্গবন্ধু টানেলের বৈরাগ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম এলাকার আন্ডারপাসটি এখন এলাকাবাসীর জন্য গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে। রোড লেভেল থেকে কয়েকফুট নীচে হওয়ায় এই শুষ্ক মৌসুমেও পানি জমে রয়েছে। এতে করে এলাকার ১৫ হাজারেরও অধিক মানুষ ও শত শত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী আন্ডারপাসের নীচ দিয়ে চলাচল করছে চরম ভোগান্তি নিয়ে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর এলাকাবাসী টানেলের প্রকল্প পরিচালক বরাবর আবেদন করেও কোনো সুরাহা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এদিকে আজ আন্ডারপাস এলাকায় বন্ধক বসানোর কাজ করতে আসলে স্থানীয়রা বাধা প্রদান করেন। কাজে বাধা পাওয়ায় পরে সেখানে সেতু কতৃপক্ষের লোকজনসহ নৌ পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। এলাকাবাসীর পক্ষে যুবলীগ নেতা ওসমান গণি রাসেল ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরে উপস্থিত সেতু কতৃপক্ষের লোকজন ও নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা আন্ডারপাসের অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রæততার সাথে শেষ করার আশ্বাস দিলে স্থানীয়রা চলে যান।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নই। এই আন্ডারপাসটি এখন আমার এলাকাবাসীর জন্য গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে। অভিযোগ ওঠায় অন্য দুই জায়গার আন্ডারপাসগুলো ভেঙ্গে নতুন করে করা হলেও অদৃশ্য কারণে আমাদেরটা কী কারণে হচ্ছেনা বোধগম্য নয়।
যুবলীগ নেতা ওসমান গণি রাসেল বলেন, আমরা শুরু থেকে বিষয়টি বলে আসছি। টানেল কতৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
তারপরও সেতু কতৃপক্ষের একগুয়েমির কারণে আজকে পনের হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার। নীচে জমে থাকছে পানি। উচ্চতা কম হওয়ায় একটি বাসও ঢুকতে পারেনা। কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ঢুকতে পারবেনা। আমরা টানেল কর্তৃপক্ষের কাছে আন্ডারপাসটি ভেঙ্গে পুনঃনির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি। সেতু বিভাগের প্রকৌশলী মো. রায়হান বলেন, আমাদের কাজ চলমান থাকায় আন্ডারপাসের জমে থাকা পানিগুলো নীচ থেকে আসতেছে।
এগুলে বন্ধ করে দ্রæততম সময়ে সেখানে একফুট উঁচু করে ঢালাই কওে দেয়া হবে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী অন্য রাস্তা দিয়ে ঢুকার জন্য স্থানীয় এলজিইডি একটি সড়ক করে দিবে বলে আমি শুনেছি। নৌ পুলিশের পিসি মোহাম্মদ মনতাজ বলেন, স্থানিয়দের কাজে বাধা দেয়ার কথা শুনে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। কতৃপক্ষের আশ্বাসের পর স্থানীয়রা চলে যায়।