মোমিন রোড ও জামালখান বিদ্যুৎ আসে আর যায়

9

নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনে বেশ কয়েকবার বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অতিষ্ঠ নগরীর জামালখান, মোমিন রোড, আসকারদিঘী ও তার আশপাশের এলাকা। গত কয়েকদিন ধরে এমন কর্মকান্ডের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর মোমিন রোড ও জামালখান এলাকায় স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, দিনের মধ্যে সকালে, দুপুরে ও রাতে বিদ্যুৎ ১০ থেকে ১২ বার আসা যাওয়া করে। অথচ দেশে এখন চাহিদার তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ রয়েছে। তারপরও বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজি নগরবাসীকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে।
মোমিন রোড এলাকার দোকানি নাজিম উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ আসা যাওয়া করা মোটেও উচিত নয়। বিদ্যুৎ বিভাগের উচিত একবার বন্ধ রেখে সব কাজ সেরে নেয়া। কিন্তু তারা এমন ভেলকিবাজিতে আমরা বিরক্ত হয়ে পড়ি।
সংবাদকর্মী তুষার দেব জানান, এ এলাকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সন্ধ্যার পর থেকে রাত অবধি আমাদের সংবাদ তৈরি করতে হয়। কিন্তু কাজের মাঝখানে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। আমার অনুরোধ থাকবে বিদ্যুৎ বিভাগ যেন লোডশেডিং রোধে নজর দেয়।
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের দাবি, প্রতিনিয়ত বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় না। শুধুমাত্র যে এলাকায় রক্ষণাবেক্ষণ ও লাইনের কাজ করা হয়। সে সমস্ত এলাকায় অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়।
বিষয়টি নিয়ে স্টেডিয়াম জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী কেনোয়ার হোসেন পূর্বদেশকে বলেন, আমাদেরকে অনেক সময় গ্রাহকরা বলে কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে। যাতে তারা তাদের কাজ করতে সুবিধা হয়। আর আমাদেরও অনেক সময় কাজের সুবিধার্থে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা লাগে। এছাড়াও মাসের শেষ সময়ে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রাখা গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্যও মূল লাইনে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। আমরা ইচ্ছে করে লাইন বন্ধ রাখতে চাই না। কিন্তু গ্রাহকদের নিরপত্তা ও সুবিধার জন্য বাধ্য হয়ে বন্ধ রাখি। যেমন- আজ (মঙ্গলবার) বাকলিয়া সাব স্টেশনে ট্রান্সফরমারে আগুন লাগার কারণে অন্যান্য সাব স্টেশনেও চাপ পড়ে। তাই কিছুক্ষণের জন্য আমরা নগরীর প্রায় এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখেছি। কিছু সময় পর পুনরায় চালু করে লাইন সচল করে দিই।