‘মেধাবীরাই শিক্ষাঙ্গনকে আলোকিত করে দেশের মেরুদন্ড রক্ষা করবে’

4

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগ, উত্তর দক্ষিণ মহানগর শাখার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) মেধা তালিকায় রাউজানের সন্তান আদনান আহমেদ তামিমের ১ম স্থান অর্জন করায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। ২১ এপ্রিল বেলা ২টায় লালখান বাজারস্থ সানি টাওয়ারের ৩য় তলায় আহমেদ কবির মিলনায়তনে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজুর সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব উদ্ভিদ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ গফুর।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা জাহান্নামের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে। এ অবস্থায় তামিমের মতো মেধাবীরাই আগামী দিনে ধ্বংসস্তূপ শিক্ষাঙ্গনকে আলোকিত করে বাংলাদেশের মেরুদন্ড রক্ষা করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্ণফুলী নদী গবেষক প্রফেসর ড. মো. ইদ্রিস আলী বলেন, স্বাধীনতা লাভের ৫২ বছর পেরিয়ে গেল। আজ সেই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মুক্ত ও স্বাধীন জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার জায়গাটুকু প্রতিনিয়ত সংকুচিত হয়ে আসছে। ছাত্রদের ক্যাম্পাসে আজ মুক্তচিন্তা প্রকাশের জায়গাগুলো বিলুপ্ত প্রায়। যদি মেধাবীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামো ও নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য ভবিষ্যতে যে যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন তা আজ শুন্যের কোঠায়। তার জন্য প্রয়োজন প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিবাচক পরিবেশ ও সহাবস্থান।
প্রফেসর ড. এম এ জলিল বলেন, দেশ ও জাতিকে সঠিক নেতৃত্বের জন্য আজ মেধাবী নেতৃত্বের বিকল্প নাই। শুধু সর্বোচ্চ মেধা অর্জন নয়, মানবিক চিন্তা চেতনায় মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে এম এ হাশেম রাজু বলেন, দেশের শিক্ষাঙ্গন ও সমাজজীবন আজ কিশোর গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে। তাই শিক্ষা অর্জনে মেধাবীদের জন্য যে পরিবেশ দরকার সে পরিবেশ থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে। মেধাবী শিক্ষার্থীদের সঠিক মূল্যায়নের জায়গাগুলো আজ ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করছে। ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আন্তর্জাতিক মানদন্ডে আমরা শতবছর পিছিয়ে যাচ্ছি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তামিমের রতœগর্ভা মাতা রুবি আকতার, মামা জাফর আহমেদ, বড়ভাই রবিউল হোসেন তারেক। বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক আমির হোসেন খান, চট্টগ্রাম বিভাগের আহব্বায়ক তাহেরা আকতার শারমিন, যুগ্ম আহব্বায়ক তৌহিদুল করিম, সদস্য সচিব এস এম কামরুল ইসলাম, মহানগর সমন্বয়ক নুরুল আবছার তৌহিদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আহমদ কবির, উত্তর জেলার আহব্বায়ক সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, সদস্য সচিব আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, দক্ষিণ জেলার যুগ্ম সমন্বয়ক শওকত নুর, মহানগর সংগঠক জোহরা খাতুন, শারমিন সরকার, তাহেরা মহরম, কৃত্তিকা চক্রবর্তী প্রিয়া, জাহেদা আকতার, সাজ্জাদ হোসেন খান, মো. হেলাল উদ্দিন, দুকুল বড়ূয়া, রবিউল হোসেন, মো. ইয়াছিন আরাফাত, ওসমান সরোয়ার, শাহজাহান খান, মোস্তফা রাশেদ, প্রফেসর রূপম বড়ূয়া প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি