মৃত্যু ১১ হাজার ছাড়িয়েছে

5

পূর্বদেশ ডেস্ক

তীব্র শীতের মধ্যেই তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধসে পড়া হাজারো ভবনের নিচে আটকা পড়াদের জীবিত উদ্ধারে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা।
সোমবার ভোররাতের ওই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ধ্বংসযজ্ঞের যে ধরন, তাতে এই সংখ্যা এখনকার কয়েকগুণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভূমিকম্পে সম্ভবত শিশুই কয়েক হাজার মারা পড়েছে, বলেছেন জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা। খবর বিডিনিউজ।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তবে ১৯৯৯ সালের পর দেশটির দেখা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে কর্তৃপক্ষের ধীর ও অপর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়ায় একাধিক শহরের বাসিন্দারাই হতাশ ও ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সোমবারের ওই ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প তুরস্ক ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার ঘরবাড়ি, হাসপাতাল, স্কুল ধসিয়ে দিয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে আহত করেছে, অগণিত মানুষ পরিণত হয়েছে উদ্বাস্তুতে।
ওই ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টা পর কাছাকাছি মাত্রার শক্তিশালী আরেকটি কম্পনও দেশদুটিকে নাড়িয়ে দিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, বাজে আবহাওয়া, সম্পদ ও ভারী যন্ত্রপাতির স্বল্পতার কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছানো ও সেখানে উদ্ধারকাজ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। কোনো কোনো এলাকায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎও নেই।
কর্তৃপক্ষের তাৎক্ষণিক সাড়া না পেয়ে অনেক জায়গায় বাসিন্দারা কোনো উপকরণ ছাড়া খালি হাতেই জীবিতদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে মরিয়া হয়ে নেমে পড়েন।