মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ ঘরছাড়া কয়েক লাখ

74

ভারতের তিন রাজ্যে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ জনে। অতিবৃষ্টি আর ভূমিধসে ঘরছাড়া হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। ১০ আগস্ট স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বন্যার কারণে কেরালায় এ পর্যন্ত অন্তত ৪২ জন মারা গেছেন। সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এক লাখের বেশি ভুক্তভোগীকে। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যমতে, গত দু’দিনে এ রাজ্যে অন্তত ৮০বার ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওয়ানাদের বনসুরাসাগর বাঁধ আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে। ১০ আগস্ট বিকেলের দিকে সেটি পুরোপুরি খুলে দেওয়া হবে। কেরালার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানিয়েছে, রাজ্যের ১৪টি জেলার মধ্যে সাতটিতেই রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে সেখানকার সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও। ১১ আগস্ট দুপুর থেকে এর কার্যক্রম ফের শুরু হবে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এক শতাব্দীর মধ্যে গত বছর সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার শিকার হয় কেরালা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন অন্তত ৫০ লাখ মানুষ, প্রাণ হারান দুই শতাধিকেরও বেশি। প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটকে বন্যায় অন্তত ২৪ জন মারা গেছেন। এ বছরের বন্যা গত ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। তিনি জানান, বন্যায় অন্তত ১ হাজার ২৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বেশ কযেকটি বাঁধ ধারণক্ষমতার শেষ পর্যায়ে রয়েছে। ইতোমধ্যে দুই লাখেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ৩০টি জেলার মধ্যে ১৬টিই বন্যা আক্রান্ত। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানীখ্যাত মুম্বাইয়ের রাজ্য মহারাষ্ট্রে বন্যায় গত এক সপ্তাহে অন্তত ২৯ জন মারা গেছেন। ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, কেরালা, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্র ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতেও ভারি বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়তে পারে।