মুহাম্মদ সেলিম খান চাটগামী

124


চট্টগ্রাম বার আউলিয়ার পুণ্যভূমি হিসাবে সমাদৃত। এর প্রাচীন নাম ইসলামাবদ। এদেশে যুগে যুগে মহান আল্লাহর একমাত্র মনোণিত ধর্ম ইসলাম এসেছে রাব্বুল আলামিনের প্রিয় মাহাবুব আউলিয়ায়ে কেরামের মাধ্যমে। আউলিয়ায়ে কেরামের জন্ম হয় এক দেশে, হেদায়তের উদ্দোশ্যে পাড়ি জমান অন্যদেশে। সে জন্যই যখন কোন এলাকায়, দেশে বা রাষ্ট্রে ধর্মীয় অনুভূতির অবক্ষয় দেখা দেয় এবং মানব সমাজ গোমরাহী সাগরের তলদেশে ধাবিত হতে থাকে, তখন মহান আল্লাহ পাক সেখানে একজন পথ প্রদর্শকের আবির্ভাব ঘটিয়ে হিদায়ত ও বেলায়তের নূরানী শিখা প্রজ্জ্বলিত করেন। টিক তেমনিভাবে পাক ভারতীয় উপমহাদেশে হেদায়ত তথা সত্যের সাক্ষ্য প্রতিষ্ঠা রাখার জন্যই রাব্বুল আলামীন পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের হাজারা জেলার সিরিকোট শরীফে রাহনুমায়ে শরীয়ত ও তরীক্বত হযরতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী মাওলানা সৈয়দ আহামদ শাহ সিরিকোটি (রাঃ) এর আবির্ভাব ঘটিয়েছেন। সে কারণে ছোটবেলা থেকেই সে মহান অলীর জীবনে বেলায়তের আদিত্য লক্ষ্য করা যায়। শিক্ষা দীক্ষা ও আধ্যাত্মিক জগতের দিকে প্রবল আকর্ষণ তাঁর মধ্যে সুপ্ত বেলায়তের প্রাথমিক বহিঃপ্রকাশ। মাত্র বারো বছর বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআন পাকের হাফেজ হন। অতঃপর কুরআন, হাদীস, ফিক্হ, উসুল ও দর্শন শাস্ত্রে বিশেষ পান্ডিত্য অর্জন করেন। পুঁথিগত বিদ্যায় পান্ডিত্য অর্জন করে তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাঁর অসাধারণ শক্তি তাঁকে জ্ঞানের প্রকৃত জগতের সন্ধানে বেরিয়ে পড়তে উদগ্রীব করে তুলল। কাজেই তিনি উপলব্ধি করলেন পান্ডিত্যই খোদা প্রাপ্তির জন্য নিশ্চিত ও নিরাপদ পন্থা নয়। প্রকৃত জ্ঞানার্জন ও আধ্যাত্মিক সাধনা এখানে পূর্বশর্ত। তাই আল্লামা সিরিকোট (রা.) মুর্শিদে কামিলের দরবারে নিয়মিত যাতায়াত এবং আধ্যাত্মিক বিষয়াদির উপর গভীরভাবে রিয়াজাত শুরু করেন। চিকিৎসা শাস্ত্রে যেমন পান্ডিত্যই যথেষ্ট নয়, বরং কোন চিকিৎসকের সান্নিধ্যে থেকে বাস্তবক্ষেত্রে এর প্রয়োগ বিধির প্রশিক্ষণ নিতে হয়, ঠিক তেমনি আল্লাহর পরিচয়ের ব্যাপারেও এ কথাটি সমভাবে প্রযোজ্য। এ উপমাকেই তিনি বাস্তবক্ষেত্রে বেছে নিলেন। আল্লামা শাহ সুফী সিরিকোট (রা.) অলীকুল শিরোমনি কুতুবুল আকতাব হযরতুল আল্লামা শাহসুফী আবদুর রহমান চৌহরভী (রা.) এর হাতে বায়’আত (শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এরপর শুরু হলো তাঁর সাধনার অন্তহীন প্রচেষ্টা। বছরের পর বছর তিনি কঠোর থেকে কঠোরতর এবাদত ও সাধনায় নিজেকে নিয়োজিত করেন। আপন মুর্শিদের প্রতি তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ আত্মোৎসর্গকারী একজন মুরাদ। একটি ঘটনা থেকে তাঁর মুর্শিদ প্রেমের গভীরতা বুঝা যাবে। পীর ছাহেব ক্বিবলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য দীর্ঘদিন যাবত সিরিকোট শরীফ হতে অতি দুর্গম গিরিপথ অতিক্রম করে প্রত্যহ অরণ্য হতে নিজ হাতে জ্বালানী কাঠ কেটে নিজের মাথায় বহন করে প্রায় আঠার মাইল দূরে অবস্থিত তাঁর পীর সাহেবের আস্তানা পাক ছৌহর শরীফে নিয়ে আসতে (সোবাহানাল্লাহ)। যমানার একজন প্রখ্যাত ধনাঢ্য ব্যবসায়ী আলেম, হাফেজ ক্বারী হওয়া সত্ত্বেও নিজের মান সম্মান সবকিছু বিসর্জন দিয়ে আল্লাহ ও রাসুল পাক (দঃ) কে পাওয়ার জন্য পীর প্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন বিশ্ব ঈমানদার মুসলিমদের সামনে। এ ছাড়াও তিনি আপন মুর্শিদ ক্বিরলার ইঙ্গিত ছাড়া কিছুই করতেন না। এক কথায় ফানা ফিশ্শায়খের এক উচ্চতম আসনে সমাসীন ছিলেন তিনি। অনেকদিন পীর ছাহেব ক্বিবলার সান্নিধ্যে থেকে যখন তিনি জাহেরী বাতেনী উভয় দিক দিয়ে পরিপূর্ণ হলেন তখন তাঁর পীর ছাহেব ক্বিবলা তাঁকে নিজের খলীফা বানিয়ে দেশ বিদেশে হিদায়তের উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেন। পীর ছাহেব ক্বিবলার আদেশক্রমে দ্বীন ইসলাম-এর খেদমতের লক্ষ্যে তিনি সুদূর রেঙ্গুন এ দীর্ঘদিন যাবত কঠোর পরিশ্রম ও সাধনায় দিনাতিপাত করে পীর ছাহেবের আদেশের মর্যাদা রক্ষা করেন। রেঙ্গুণে অসংখ্য নরনারী আলেম হাফেজ সাংবাদিক ও অফিসারবৃন্দ কাদেরিয়া তরীক্বায় তাঁর হতে মুরীদ হয়ে আল্লাহ ও রাসুল পাক (দঃ) এর পরিচয় লাভে ধন্য হন। তাঁদের মধ্যে দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার, সুফী আবদুল গফুর, ডা. টি হোসেন ও মাস্টার আব্দুল জলিলের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ মহান ব্যক্তিদের উসিলায় এ দেশের আপামর মুসলিম জনতা একজন আল্লাহর প্রকৃত অলীর সান্নিধ্যে আসার ও তরীক্বতের সবক নেয়ার সৌভাগ্য নসীব হয়েছে। এজন্য আমরা এ মহান ব্যক্তিদের নিকট সবচেয়ে বেশী ঋনী ও কৃতজ্ঞ। আল্লাহ পাক তাদের দরওয়াজা বুলন্দ করুন! আমীন!
অতঃপর হুযুর ক্বিবলা বাংলাদেশের মুসলমানদেরকে তরীক্বতের ধারায় সিক্ত করার জন্য এদেশে তাশরীফ আনেন। এরপর ইঞ্জিনিয়ার সাহেব আন্দরকিল্লাস্থ তাঁর কোহিনুর ইলেকট্রিক প্রেসে এ মহান অলীর অবস্থানের ব্যবস্থা করার সৌভাগ্য লাভ করেন। সেই সময় উক্ত প্রেসই ছিল সকল পীর ভাইদের যোগাযোগের স্থান। এখানে বিশেষতঃ চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ হুযুর ক্বিবলা (রাঃ) এর সান্নিধ্যে এসে তরীক্বায়ে কাদেরিয়ার অমৃত সুধা পান করে ধন্য হতে লাগলেন। অতঃপর প্রখ্যাত সমাজসেবী ও ধার্মিক ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ আল-কাদেরীর একান্ত আগ্রহে তাঁর নিজস্ব ভবনে বলুয়ার দীঘির পাড়স্থখানেকায় কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়বিয়া প্রতিষ্ঠিত হলে সেই খানকায় অবস্থানকরে তিনি শরীয়ত ও তরীক্বতের অমীয় বাণী পৌঁছাতে শুরু করলেন। এ মহান অলীআল্লাহর ও রাসুল (দঃ) এর নৈকট্য হাসিল করার একমাত্র পন্থা হলো সুন্নতে নববীর পরিপূর্ণ এত্তেবা।
তাঁর নিষ্কলুষ চরিত্রের অন্যতম সৌন্দর্য্যই ছিল প্রতিটি কাজে সুন্নতের পূর্ণ মর্যাদা প্রদান। একটি সুন্নাতও তিনি সাধ্য থাকতে ছাড়তেন না। চারিত্রিক দিক দিয়েও ছিলেন সকল প্রকার আপত্তির উর্ধ্বে। এক কথায় তাঁর চরিত্রে ফুটে উঠত প্রিয় নবী (দঃ) এর আদর্শের প্রতিচ্ছবি। একদিকে দেখা যায় তিনি পরম শত্রুকে ক্ষমা করেছেন। অপরদিকে তিনি বীর সেনানীর মত ফেরকায়ে বাতেলা ওঅন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে নির্ভীকভাবে সংগ্রাম করেছেন। একদিকে দেখা যায় তাঁর হাতে অজস্র ধন দৌলত আসছে- অপরদিকে তা সৃষ্টির কল্যাণের জন্য অকাতরে দান করে দিচ্ছেন। পার্থিব কোনপ্রকার কলুষতা তাঁর মধ্যে স্থান পায়নি। বস্তুতঃ নৌকা যেমন পানির উপর দিয়ে চলে, পানি কিন্তু নৌকার মধ্যে ঢুকেনা, ঠিক এ মহান অলীর ব্যাপারেও এক কথাটি সমানভাবে প্রযোজ্য।
হুযুর ক্বিবলা আল্লামা সিরিকোটি (রাঃ) ১৯২৫ সনে বার্মার রেঙ্গুনে আঞ্জুমানে শুরায়ে রহমানিয়া নামক একটা দ্বীনিসংস্থা কায়েম করেন। যে সংস্থা প্রথমে রেঙ্গনে বহুবিধ তরীক্বত ও দ্বীনি ভূমিকা পালন করে।
আধ্যাত্মিক এলমের অধিকারী হযরত আব্দুর রহমান চৌহরভী (রাঃ)- এর লিখিত ত্রিশ পারা (১৪৪০পৃ.) সম্বলিত বিশ্ববিখ্যাত দুরুদ শরীফের কিতাব মজমু’আয়ে সালাওয়াতির রাসুল (দঃ)- এর ১ম প্রকাশনার কাজ সমাধান করেন। তদুপরি, হযরত চৌহরভী (রাঃ) এর প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা-এ-ইসলামিয়া রহমানিয়া ও হযরত সিরিকোট (রাঃ) সুচারুরূপে পরিচালনা করেন। আল্লামা সিরিকোটি (রাঃ) বাংলাদেশে তশরীফ আনার পর এ সংস্থা মজলিশে শুরা-এ-রহমানিয়া, আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহামদিয়া সুন্নিয়া রূপ লাভ করে যা সরল প্রাণ মুসলমানদেরকে বাতেল ফেরকার খপ্পর থেকে সত্যের মহিমায় নিজ আত্মা ও ঈমানের সম্পর্ক সুদৃঢ় করার সুযোগ এনে দিয়েছে। এ-দ্বীনি সংগঠন আঞ্জুমান শুধু এদেশে নয়, বরং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও একটা খাঁটি সুন্নী প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে। এটা এদেশের সুন্নী মুসলমানদের গৌরবের বিষয় নয় কি? তিনি আঞ্জুমানের পরিচালনায় সর্বপ্রথম ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রামে জামেয়া আহমদিয়া সুন্নীয়া আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এ মাদ্রাসা সমগ্র বাংলাদেশে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীদের সেতু বন্ধন রচনা করছে।
জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা স্থাপন ও সিরিকোটি (রঃ) এর অপূর্ব কারামত। ১৯৫৪ সালের প্রথম দিকে ষোলশহরস্থ এ মাদ্রাসাকে হুযুর ক্বিবলা হযরত নুহ (আঃ) এর নৌকার সাথে তুলনা করেছেন। তিনি বলতেন, ‘দ্বীন কো বাঁচাও ইসলামকো বাঁচাও সাচ্চা আলেম তৈয়ার করো। মুঝে দেখনা হ্যায়তো মাদ্রাসা কো দেখো, মুঝছে মুাহব্বত হ্যায় তো মাদ্রাসাকো মুহাব্বত করো। এ মাদ্রাসাখানি হুযুর ক্বিবলার জিন্দা কারামাত। তিনি স্পষ্ট করে বলে গেছেন, নেক মকসুদ হাসিলের জন্য কোন ব্যক্তি এ মাদ্রাসার জন্য মান্নত করলে তার সুফল পাওয়া যাবে ইন্শাল্লাহ। আশা পুর্ণ না হলে দান করবেন না। মকসুদ পূর্ণ হওয়া মাত্র মান্নত পূর্ণ করে দেবে। সে থেকে অদ্যাবধি হাজার হাজার ভক্ত অনুরক্ত এভাবেই এ মাদ্রাসার জন্য দান করে আসছে। সে সাথে দুনিয়া ও আখিরাতের কামিয়াবী হাসিল করছে।
এ দেশে হুযুর ক্বিবলার শুভাগমন এবং তাঁর প্রতিষ্টিত যাবতীয় দ্বীন মযহাবী প্রতিষ্ঠান সমুহের কার্যক্রম আমাদের তথা সুন্নী মুসলমানদের জন্য আল্লাহ তা’আলা ও নবী করীম (দঃ) এর পক্ষ থেকে এক মহান নেয়ামত ও আশীর্বাদস্বরূপ। নবীর (দঃ) শুভাগমন না হলে আমরা যেমন কাফের ও বেদ্বীন হয়ে যেতাম ঠিক তদ্রæপ হুযুর ক্বিবলা এদেশে শুভাগমন না করলে বাতিলদের প্ররোচনায় আমাদের ঈমান হারা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল অত্যাধিক। সাড়ে তিন হাজার মাইল দূর থেকে এসে তাঁরা এখানে ব্যবসা বাণিজ্য করেননি বরঞ্চ আল্লাহ রসুল (দঃ) এর পথে থাকার পাথেয় সরবরাহ করে গেছেন অক্লান্ত পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সাথে। তাঁদের এ অবদান ভুলবার নয়। তিনি শুধু এ দেশে নয় সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে দ্বীন ও মিল্লাত এবং মাজাহাবের প্রচার ও প্রসার করেছেন। ড. ইব্রাহীম মাহদী রচিত অ ংযড়ৎঃ যরংঃড়ৎু ড়ভ গঁংষরসং রহ ঝড়ঁঃয অভৎরপধ নামক একটি প্রামাণ্য ইতিহাস গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ১৯১১ সালে আফ্রিকার মোম্বাসা বন্দুর ভারতীয় ব্যবসায়ী ছৈয়দ আহমদ শাহ পেশওয়ারীর অক্লান্ত পরিশ্রমে মুসলমানদের প্রথম প্রার্থনা গৃহ বা জামে মসজিদ তৈরি হয়। পরবর্তীকালে তিনি এখানে মুসলমানদের হানাফী মজহাবে দীক্ষিত করার প্রয়াস নেন। এসময় পারস্য এলাকা থেকে আগত কিছু মুসলমান দক্ষিণ আফ্রিকার মুসলমানদের মধ্যে শিয়া মতবাদ প্রচারেও ব্যাপৃত ছিলেন। তবে ভারতীয় মুসলমান ব্যবসায়ীদের মধ্যে সে সময় যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় ইসলামের প্রচার-প্রসারে নিয়োজিত ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ জনগণের কাছে তাদের প্রভাবই ছিল বেশি। ড. মাহদী প্রণীত এই ঐতিহাসিক গ্রন্থে বর্ণিত, এ ভারতীয় ব্যবসায়ী ছৈয়দ আহমদ শাহ পেশওয়ারী যে বর্তমান পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের হাজারা জিলার ছিরিকোট শরীফের কুতুবুল আউলিয়া হযরত সৈয়দ আহমদ শাহ্ ছিরিকোট (রহ.) সেই ব্যাপারে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। প্রসঙ্গত, তিনি আঠার’শ শতকের শেষ প্রান্তে ব্যবসায়ী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা গমন করেছিলেন এবং সেখানে দীর্ঘদিন অবস্থান করেছিলেন।
নবী করিম (দ.) এর ৩৯তম বংশধর হাফেজ ক্বারী ছৈয়দ আহমদ শাহ ছিরিকোট (রহ.), ১৩৮০ হিজরীর ১১ জ্বিলকদ ছিরিকোট শরীফে ওফাতপ্রাপ্ত হন। প্রতিবছর এদিন চট্টগ্রাম-ঢাকাসহ বাংলাদেশের সর্বত্র, পাকিস্তান, ভারত, বার্মা, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, লন্ডনসহ পৃথিবীর বিভিন্নস্থানে হুজুর ক্বিবলার ওরশ মোবরক যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে চট্টগ্রাম মহানগরীর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া ময়দানে আঞ্জুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওরশ মাহফিলে লক্ষ লক্ষ ভক্ত-অনুরক্ত শরীক হন এবং অশেষ পুণ্য হাসিল করেন। মহান রাব্বুল আলামিনের আলিশান দরবারে ফরিয়াদ তিনি যেন আমাদেরকে হুজুরকেবলার আদর্শ বাস্তব জীবনে প্রতিপলণ করার তৌফিক এনায়েত করেন। আমিন ।
লেখক: প্রবন্ধিক