মুসলিম মিল্লাতকে অশান্তি থেকে রক্ষায় এগিয়ে আসুন

36

আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.) বলেছেন, অল্প সময়ের জন্য মানুষ পৃথিবীতে এসেছেন। তাই এ সময়কে আখেরাতের জন্য কাজে লাগিয়ে মুত্তাকি বনে সমাজে ভাল কাজ করে মহান আল্লাহ ও তার রাসুল (দ.) এর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় রাউজান সরকারি কলেজ মাঠে সুন্নি কনফারেন্সে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তাওবার মাধ্যমে জীবনের সকল পাপ মোচন হয়ে যায়, কিন্তু অপরের হক ধ্বংসকারী, আত্মসাৎকারী জালেমরা পার পাবেন না। যতক্ষণ না তিনি মজলুমের কাছে ক্ষমা না চাইবেন কিংবা হক আদায় না করবে। তাই সবার উচিৎ ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়ে, হক পরিশোধ করে পাপমুক্ত হয়ে নতুনভাবে তরিকত অনুযায়ী জীবন শুরু করা।
তিনি বলেন, দুনিয়া ও আখিরাতকে উজ্জল করতে দেশ, সমাজ ও মুসলিম মিল্লাতকে অশান্তি এবং হানাহানি থেকে রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (ম.জি.আ), আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ হামিদ শাহ (ম.জি.আ.)।
রাউজান উপজেলা (উত্তর) শাখা গাউসিয়া কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা ইলিয়াছ নূরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ
সম্পাদক মাওলানা ইয়াসিন হোসাইন হায়দরী এবং উত্তর জেলা গাউসিয়া কমিটির প্রচার সম্পাদক আহসান হাবিব চৌধুরী হাসানের সঞ্চালনায় অতিথি ছিলেন আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সহ সভাপতি মুহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জয়েন্ট সেক্রেটারি সিরাজুল হক, শামসুদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন শাকের, অধ্যাপক কাজী শামসুর রহমান, গাউসিয়া কমিটির কেন্দ্রীয় পরিষদ চেয়ারম্যান পেয়ার মুহাম্মদ কমিশনার, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার শায়খুল হাদিস আল্লামা মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল ওহাব, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুনায়দে কবির সোহাগ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, ২য় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, আরব আমিরাত গাউছিয়া কমিটির সেক্রেটারি জানে আলম।
বক্তব্য রাখেন গাউছিয়া কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার, শায়খুল হাদিস আল্লামা কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফি, মাওলানা জসিম উদ্দিন আজহারি, অধ্যক্ষ রফিক আহমদ ওসমানী, অধ্যক্ষ মারেফাতুন নুর, মাওলানা আহমদ উল্লাহ ফোরকান, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রকৌশলী নুরুল আজিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বশির উদ্দিন খান, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, তাওহিদুল আলম, ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিম উদ্দিন হিরু, বাবুল মিয়া মেম্বার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, কাউন্সিলর জানে আলম জনি, শওকত হোসেন, আসাদ উল্লাহ, মাওলানা ইব্রাহিম নঈমী, সৈয়দ হোসেন কোম্পানি, অধ্যক্ষ হাফেজ আবু জাফর সিদ্দিকী, শাহাজাহান ইকবাল, অধ্যক্ষ সৈয়্যদ মুহাম্মদ আবু মোস্তাক আল কাদেরী, কামরুল আহসান চৌধুরী, কমর উদ্দিন সবুর, হাবিব উল্লাহ মাস্টার, আবু ইউচুপ চৌধুরী, সৈয়দ মুহাম্মদ হোসেন, আবু বক্কর সওদাগর, মুহাম্মদ হানিফ।
বক্তারা বলেন, রাসুলে পাক (দ.) সমগ্র সৃষ্টিক‚লের রহমত। তাই ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) সবার ঈদ। এমনকি সকল ঈদের সেরা ঈদ। জশনে জুলুস সেরা-নির্মল আনন্দকে আরও বেশী আকর্ষণীয় এবং হৃদয়গ্রাহী করে তুলেছে। আর বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশে জশনে জুলুসের মত ইসলামী সংস্কৃতি প্রবর্তন ও শত শত মাদ্রাসা করার জন্য দরবারে দরবারে ছিরিকোটের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এ দরবারে ‘কাম কর, দ্বীনকো বাচাও’ উপদেশটি আজ বাণী চিরন্তন হিসেবে স্বর্ণাক্ষরে লিখতে হবে। কারণ এমন নির্দেশনার প্রভাবে আজ এ সিলসিলার লাখ লাখ মুরিদ-ভক্ত দ্বীন রক্ষার মিশনকে তাদের প্রধান দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছে। শুধু তসবিহ নয়, সেবাও আসল তরিকত। আর দ্বীনের সেবা তথা ঈমান-আকিদার সেবা হল সব সেবার ঊর্ধ্বে।