মুমিনুলদের দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট হবে গ্রাসী-বাউন্সি!

15

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের উইকেটে ঘাস ছিল অপেক্ষাকৃত কম। যা সচরাচর নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে দেখা যায় না। আর সেই উইকেটেই বাংলাদেশের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে কিউইরা। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে স্বাগতিকরা কেমন উইকেট বানাবে। বিদায়ী টেস্ট সিরিজ খেলতে যাওয়া রস টেলর আগামভাবে যেমন আভাস দিয়েছেন। তাতে এটাই ফুটে উঠছে, দ্বিতীয় টেস্টের পিচে ঘাস থাকবে বেশি আর বাউন্স থাকবে ভীষণ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলে টেস্টকে বিদায় বললেও আরও ৬টি ওয়ানডে খেলবেন রস টেলর। তার পরেই কিউই ব্যাটারের বিদায় নিশ্চিত হবে। কিন্তু বিদায়ী টেস্টে তিনি এখন ঘুরে দাঁড়ানোর অপেক্ষায়। তাই দ্বিতীয় টেস্ট নিয়ে বলতে গিয়ে উইকেট সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘এটা এমনই মাঠ, যাকে আমরা ভালোভাবে চিনি। তবে মাউন্টে কীভাবে খেলতে হয় তা এখনও বুঝে ওঠার চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু এখানকার উইকেট সম্পর্কে মাউন্ট মঙ্গানুই থেকেও আমাদের ধারণা অনেক বেশি।’ এরপর উইকেটের ধরন সম্পর্কে আগাম ধারণা দিয়ে রস টেলর বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এখানে অনেক বাউন্স থাকবে। বল সোজা কিপারের কাছে যাবে সবসময়। আরেকটা বিষয় হলো, এখানে ঘাসও থাকবে প্রচুর। যে কন্ডিশনটায় আমাদের ব্যাটাররা অভ্যস্ত, একইভাবে বোলাররাও।’ গ্রাউন্ডসম্যানদের সঙ্গে কথা হয়েছে টেলরের। তার প্রেক্ষিতেই তিনি বলেছেন, ‘আমি শুধু জিজ্ঞেস করেছি এটা চিরাচরিত উইকেট কিনা। ওরা বলেছে, হ্যাঁ। আর হ্যাগলি ওভালে চিরাচরিত উইকেট মানেই সবুজাভ এবং টস জেতা মানে বোলিং নাও।’ দ্বিতীয় টেস্টটা টেলরের সাদা পোশাকের শেষ ম্যাচ। এছাড়া প্রথম টেস্টটাও রাঙাতে পারেননি। তার ওপর যোগ হয়েছে ৮ উইকেটের লজ্জার হার। এই অবস্থাতেও বাংলাদেশের জয়কে নেতিবাচকভাবে দেখেন না তিনি। বরং মনে করছেন, মুমিনুলদের জয়টা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যই ভালো, ‘পুরোটা সময় আমাদের ওরা ম্যাচের বাইরে রাখতে পেরেছে। তবে টেস্ট ক্রিকেটের টিকে থাকার জন্য বাংলাদেশের মতো দেশের উঠে আসা প্রয়োজন। এই জয় থেকে ওরা অনেক আত্মবিশ্বাস পাবে।’