মুনিরীয়া যুব তবলীগের ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম মাহফিল

59

যুগে যুগে সৃষ্টিকে হেদায়তের জন্য মহান আল্লাহ পাক এক এক যুগে এক একজন হাদী বা পথ প্রদর্র্শক প্রেরণ করে থাকেন। যারা যুগ সংস্কারের দায়িত্ব পালন করেন। ঐ সমস্ত হাদীরা তত বেশি উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন হয় যারা যত বেশি নবী (দঃ) এর প্রেম সাগরে নিজেদেরকে নিবেদন করতে পেরেছেন। বেলায়তের পথপরিক্রমায় হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) নবী প্রেমের পথ ধরে তাওয়াজ্জুহর মাধ্যমে মানবজাতিকে হেদায়তের শাশ্বত শান্তির সোনালী পথের সন্ধান দিয়েছেন তা চিরস্মরণীয়। সভ্যতার চরম উৎকর্ষতার যুগে এসে আমরা পেয়েছি এমন একজন কালজয়ী রাহবার যিনি কাগতিয়ার নিভৃত পল্লি থেকে যে আধ্যাত্মিক বিপ্লবের সূচনা করেছেন তা বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে। কাগতিয়ার মহান মোর্শেদ আওলাদে মোস্তফা খলিফায়ে রাসুল হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর অনুসৃত তরিক্বতে এসে নূরে মোস্তফা গ্রহণের মাধ্যমে আলোকিত মানুষ তথা ইনসানে কামেলে পরিণত হচ্ছে।
রবিবার চট্টগ্রাম বায়েজিদস্থ কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে ৬৬ তম পবিত্র ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম মাহফিলে উপস্থিত ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে বক্তারা এ কথা বলেন।
মাহফিলে কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের হুজুর ক্বেবলা অসুস্থতাজনিত কারণে অনুপস্থিত থাকায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শুনানো হয়। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আজ থেকে চৌদ্দশত বছর পূর্বে আইয়্যামে জাহেলিয়াতের ঘোর অমানিষা ভেদ করে পূর্ণিমার চাঁদের মতো হেদায়তের আলো ছড়িয়ে উদিত হয়ে তশরীফ এনেছিলেন হায়াতুন নবী হুজুর আকরাম (দঃ)। যার আগমনে ধন্য হয়েছিল সমগ্র কুল কয়েনাত। সন্ত্রাস, অন্যায়, রাহাজানি উলঙ্গপনা, বেহায়াপনা, অত্যাচার জুলুমের যবনিকাপাত হয়েছিল। অতি অল্পদিনের মধ্যে নিজ চরিত্রগুণে একটি বর্বর জাতিকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য এবং মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে মাহফিলে বক্তব্য রাখেন- মুহাম্মদ নূর খান, মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, মাওলানা মুহাম্মদ এরশাদুল হক, মাওলানা মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন নূরী, মাওলানা ইউছুফ মুনিরী, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটি বাংলাদেশ এর উদ্যোগে পবিত্র ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম মাহফিল উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে ছিল পবিত্র খতমে কোরআন, সাংগঠনিক আলোচনা, বাদে আছর খতমে ইউনুচ ও দরূদে সাইফুল্লাহ, বাদে মাগরিব পবিত্র নাতে মোস্তাফা ও জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী। বাদে এশা পবিত্র ফাতেহা-এ ইয়াজদাহুম শীর্ষক আলোচনা, মিলাদ, কিয়াম, আখেরী মোনাজাত এবং তাবাররুক বিতরণ। মিলাদ-ক্বিয়াম শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ্র সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা হযরত গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি