মুখোশ নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে হংকং-এ

37

বিক্ষোভ ঠেকানোর চেষ্টায় উপনিবেশিক আমলের জরুরি আইন ব্যবহার করে মুখোশ ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন হংকং-এর প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম। গত ১ অক্টোবর সহিংসতা বৃদ্ধির পর শনিবার থেকে মুখোশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। পরিস্থিতি আরও খারাপ না হতে দেওয়ার কারণ দেখিয়ে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে ঘোষণার পরপরই তা উপেক্ষার প্রতিশ্রæতি নিয়ে শুক্রবার রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। মুখোশ পরিহিত অ্যাকটিভিস্টরা অন্যদেরও তা পরে রাস্তায় নামার আহŸান জানিয়েছেন।
এক সময়কার ব্রিটিশ কলোনি হংকং এখন চীনের অংশ। ‘এক দেশ, দুই নীতি’র অধীনে কিছু মাত্রায় স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছে হংকং। অঞ্চলটির নিজস্ব বিচার ও আইন ব্যবস্থা রয়েছে,যা মূল চীনের চেয়ে ভিন্ন। গত ৯ জুন থেকে সেখানে কথিত অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা,ওই বিল অনুমোদন করা হলে ভিন্নমতাবলম্বীদের চীনের কাছে প্রত্যর্পণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। লাখো মানুষের উত্তাল গণবিক্ষোভের মুখে এক পর্যায়ে ওই বিলকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা দেন হংকংয়ের চীনপন্থী শাসক ক্যারি ল্যাম। তবে এতে আশ্বস্ত হতে না পেরে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে সেখানকার নাগরিকরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হংকংয়ের স্বাধীনতা,বৃহত্তর গণতন্ত্র ও চীনের নিযুক্ত নির্বাহী প্রধানের পদত্যাগের দাবি। সাপ্তাহিকভাবে অনুষ্ঠিত এই বিক্ষোভ ক্রমাগত সহিংস হয়ে উঠছে।
হংকং-এর প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম বলেছেন, সাপ্তাহিক বিক্ষোভে সহিংসতায় শহর ধ্বংসের উপক্রম হওয়ায় উপনিবেশিক আমলের আইন প্রচলন করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। নিরাপত্তা সচিব জন লি বলেছেন, অনুমোদিত ও অনুনোমোদিত জনসমাগম, মিছিল বা শোভাযাত্রায় নিষিদ্ধ হবে মুখোশ ব্যবহার। রংয়ের ব্যবহারসহ মুখ ঢাকা যেকোনও কিছু এর আওতায় নিষিদ্ধ থাকবে। তবে স্বাস্থ্য ও পেশাগত কারণে যারা মুখোশ ব্যবহার করেন সেগুলো নিষিদ্ধ হবে না বলে জানান তিনি। বিক্ষোভকারীরা বেশ কিছু কারণে মুখোশ ব্যবহার করে থাকেন। চাকরিদাতা, পুলিশ বা বাবা-মায়েদের কাছ থেকে পরিচয় লুকানো বা কখনো কখনো টিয়ারগ্যাস থেকে রক্ষা পেতেও মুখোশ ব্যবহার করছে হংকং-এর বিক্ষোভকারীরা।