মুখাগ্নি

127

‘নাছির সাহেব, চলেন নিরঞ্জনকে দেখতে যাব।’
‘জি ছার! গতকালই তো ঘুরে এলেন? দু-একদিন বাদে গেলে হয় না’?
ডা. আবিরের চোখ পাকানো দেখে আমতা আমতা করে নাছির রুমের বাইরে এসে এম্বুলেন্স ড্রাইভার হায়দারকে হাঁক ছাড়ল।
‘এই হায়দার ভাই, গাড়ি ব্যার করেন আরএমও ছার পাল পাড়ায় ভিজিটত যাবেন’।
‘পাল পাড়ায় গতকাল আরও দশ রোগীর রিপোর্ট পজিটিভ আসছে’ ড্যাশ বোর্ডে চোখ রেখেই বিড়বিড় করে ডা. আবির সে তথ্য অন্য কারও কান পর্যন্ত পৌঁছায় কিনা জানা যায় না।
কড়িহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উপজেলার কোভিড ফোকাল পারসন। যাবতীয় দেখভাল, রিপোর্টিং তাকেই করতে হচ্ছে। একদিকে সময়ে অসময়ে মিনিস্ট্রি-ডিজির সাথে জুম মিটিং, অন্যদিকে রাত-দিন ধিন ধিন করে ছুটতে হচ্ছে পথে-প্রান্তরে। নতুন সনাক্ত হলে আইসোলেশন ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে উপজেলা কোভিড ইউনিটে ভর্তি অথবা সদরে রেফার করতে হচ্ছে। আবার বিদেশ কিংবা রাজধানী ফেরত মানুষদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার মতো দুরূহ কর্মযজ্ঞও তাকে করতে হচ্ছে। লিয়াজোঁ করতে হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের সাথেও। নাওয়া-খাওয়ার বালাই নেই। ফোনের পরে ফোন। কান ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে। এদিকে মাস্ক ও ফেসশিল্ডের ইলাস্টিকের চাপ কান-মাথা সর্বদা ব্যথা হয়ে আছে। বোশেখের দাবদাহে সারাদিন গায়ে পিপিই পরে থাকা যেন একধরণের রিমান্ডে থাকা। অতিরিক্ত চাপে মেজাজও মাঝেমাঝে খিটমিটে হচ্ছে আবিরের। ঝাল গিয়ে পড়ছে কাছের মানুষদের উপরে।
এম্বুলেন্সের সাইরেনে তড়িঘড়ি করে বেরিয়ে পড়ল ডা. আবির, সাথে ইপিআই টেকনোলজিস্ট নাছির। এম্বুলেন্স শব্দ তুলে অোঁয়া ছেড়ে রওনা দিল।
‘হামার কিন্তু পিপিই নাই ছার, হামি বাড়ির ভেতর ঢুকমু না’ হায়দার বলে উঠল।
‘ক্যা? নিরঞ্জনের বিটিক দেখপা ন্যা? সোন্দর আছে কল্যাম’। ঠোঁট বাঁকিয়ে উত্তরের প্রত্যাশা করে নাছির।
‘কী কন! জাত-ধর্ম আছে না?’
‘আরে কলমা পড়ে মুসলমান ব্যানে বিয়া করবা মিয়া! ডবল ছওয়াব!’
‘ইয়ার্কি-ফাইজলামি রাখেন তো আপনারা। নিরঞ্জন বাঁচে কিনা সেই টেনশনে আছি’ জানায় আবির। চুপ হয়ে যায় সবাই। রাস্তায় আর বিশেষ কোন আলাপ হয় না তাদের। তবে হায়দার অনেকটা স্বগতোক্তি করে, ‘করোনা ধরা পড়ায় পাল পাড়ায় কাল কয়েকজনের বাড়ি-ঘর ভাংচুর হছে।’
একচালা টিনের ঘরের ছোট্ট বারান্দার পাঐ ধরে দাঁড়িয়ে আছে নিরঞ্জনের ষোড়শী কন্যা অঞ্জনা। ন্যাকড়ার মতো প্যাতপ্যাতা ময়লা-পাতলা শাড়ির আঁচল মুখে জড়িয়ে। ছিপছিপে গড়নের হাড় জিরজিরে শরীর। চোখের নিচের কালসিটে দাগগুলো জানান দিচ্ছে অঞ্জনার গঞ্জনা নেহায়েত কম না। বারান্দায় পুরোনো মাদুরে নুড়িসুড়ি হয়ে শুয়ে আছে নিরঞ্জন। মাছি ভিন ভিন করছে।
‘বাবা কেমন এখন?’ ডাক্তার জিগেস করে।
‘আরও খারাপ হয়ে গ্যাছে ডাক্তার বাবু! কতা কচ্ছে না। হাসফাস বেশি হয়ে গ্যাছে’।
‘কত করে বললাম হাসপাতালে নিতে। শুনলে না তো!’
‘বাবা যাবার চায় না’।
আবির মনোযোগ দিয়ে নিরঞ্জনকে পরীক্ষা করতে থাকে। কোম্পানির স্যাম্পল ম্যানেজ করে কিছু ঔষধ সে নিয়ে এসেছে। সেগুলো লিখে অঞ্জনাকে বুঝিয়ে দিয়ে যায়। অঞ্জনা টু শব্দটি করে না। ‘রোগী কিছু খেয়েছে অঞ্জনা?’ না সূচক মাথা নাড়ায় সে। ‘তুমি?’ এবার হ্যাঁ, না কিছুই জানায় না। বারান্দায় দুমুখো মাটির হেঁসেলে আগুন, ছাই কিংবা কালির লেশ মাত্র নাই। হায়দার কয়েকবার বাইরে থেকে চটের বস্তা টাঙানো দরজার ওপর দিয়ে উঁকি দিয়ে গেছে। নাছির আড়চোখে তা দেখতে ভুলে নি। সে কয়েকফুট দূরে ঠাঁই দাঁড়িয়েছিল। দূর থেকে দুএকজন পড়শী তাকিয়ে আছে। ভেতরে প্রবেশের সাহস কারও নেই। মরণব্যাধি করোনা। কাউকে ধরো না। কাছে এসো না। পালপাড়ায় আরও ডজন খানেক রোগীকে ফলোআপ করে কোয়ার্টারে ফিরে আসে আবির।
পরদিন সকালে হায়দার নিরঞ্জনের মৃত্যুর খবর নিয়ে আসে। ‘ছার, আপনেক যাওয়া লাগবি। হিন্দুকেরে ব্যাপার স্যাপার তো বুজেনই। কেউ কাছে আসিচ্চে না ছার।’
‘আমি একাই গিয়ে তো হবে না রে। আমার কী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার আছে? না হাতে ছড়ি আছে? দেখি থানায় ফোন করে ফোর্স দেয় কিনা?’ দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে আবির। ইউএনও এবং ওসির সাথে আলাপ করে আধাঘণ্টার মধ্যে বেড়িয়ে পড়ে আবির।
পালপাড়ার প্রধান পীযুষ পালের সাথে আলাপ করে আবির। পীযুষ নিজেও কোয়ারেন্টিনে আছে বিধায় সে অন্তেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত হতে পারবে না জানায়। অন্তত শশ্মানবন্ধুদের অনুরোধ করতে বললে- ‘দিব্যান লোকান স গচ্ছতু। শয়ে শয়ে মানুষ মরিচ্চে ডাক্তার সাহেব। কারটা কে করে কন? অরা যদি শব বহন না করব্যার চায়, কী করমু কন?’ সাফ জানিয়ে দেয়। বেকায়দায় পড়ে যায় আবির ও তার টিম। নিরঞ্জনের বাড়ির সামনে মানুষের ছোট্ট জটলা। শায়ন করে রাখা হয়েছে শব। পায়ের কাছে বসে অঞ্জনা কাঁদছে না। হয়ত কান্না ফুরিয়ে গেছে। কিংবা অধিক শোকে পাথর বনে গেছে। ছয় বছর বয়সে তার মা লোকান্তরিত হয়েছিল যক্ষায়। তারপর এই ঘরে বাবার অকৃত্রিম স্নেহে বেড়ে ওঠা। দিনমজুর বাবার দারিদ্র্যকে ভাগাভাগি করা। স্কুলের চৌকাঠ না মাড়িয়ে বাবুদের বাড়ি বাড়ি ফুটফরমায়েশ খেটে অন্ন যোগান। বড় হতে হতে বাবুদের বিছানায় নিয়ে যাওয়ার বিকৃত খায়েশ। একদশকের মা হারা জীবনের কত রূপ দেখেছে অঞ্জনা। ঘেন্না ধরে গেছে জীবনের প্রতি আর এই হাভাতে পেট ও ধলা চামড়ার শরীরের প্রতি। এখন বাবাও গেল!
‘হায়দার, কী করা যায়? বলো দেখি?’ আবির জিগেস করে। হায়দার নির্বিকার। এস আই বলে ওঠে, ‘স্যার, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামে ফোন দিয়ে বেওয়ারিশ হিসেবে দিয়ে ফেলা যায় না? কিচ্ছা শেষ?’
‘এটা কিভাবে সম্ভব? আপনার মৃত্যুর পরে যদি শশ্মানে পোড়ায় কেমন হবে এসআই রফিক?’
কিছুটা চুপসে যায় রফিক। গলা নামিয়ে বলে, ‘সৎকারের জন্য হিন্দু কারও সাহায্য তো পাওয়া যাচ্ছেনা’।
‘সে ব্যবস্থা হবে। আপনি ওসিকে ফোন করে দেখুন। আঞ্জুমানে মফিদুলের মতো হিন্দুদের কোন স্বেচ্ছাসেবক সংঘ এই উপজেলায় আছে কিনা? আর হায়দার তুমি সামনের বাজারে গিয়ে ঘি, চন্দন আর কি কি লাগে নিয়ে এসো। টাকা নিয়ে যাও।’ হায়দার বলল, ‘ছার, হামার কাছে আছে। ট্যাকা লাগবি ন্যা’।
‘ব্যাটা, হাতেম তাঈ হইছ নাকি? ধরো, এর বাইরে কিছু লাগলে তুমি দিও’ জোর করে টাকা গুঁজে দেয় ডা. আবির। এস আই জানায়, ‘একটি স্বেচ্ছাসেবক দল ছিল। আজ তাদের শিডিউল পাওয়া যাবে না।’
‘চলেন। মন্দির থেকে দুই-তিনজনকে ধরে আনি’। আবির মত দিলো।
পুলিশের গাড়ি নিয়ে পালপাড়ার শিবমন্দির থেকে ২ জনকে জোর করেই নিয়ে আসা হলো। তাদের সহযোগিতায় ঘি মাখিয়ে নিরঞ্জনের শবদেহ স্নান করানো হয়ে। তারপর চন্দন মাখিয়ে তার দু কান, নাকের দুটি ছিদ্র, দুটি চোখ ও মুখে মোট সাত টুকরা কাঁসা দিয়ে পিন্ড দান করা হয়ে। মন্দিরের শিক্ষানবিশ পুরোহিত জিগেস করে, ‘ছার, মুখাগ্নি কে করবে? শবের তো পুত্র কেউ নাই’। ‘কেন? কন্যাকে দিয়ে করা যায় না?’ পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে এস আই। ‘না। নিয়ম নেই। পুত্র অথবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পুরুষ লাগবে। কুমারী কন্যাদের শশ্মানে যাওয়া বারণ।’ ‘এগুলো সংস্কার না কুসংস্কার দাদা?’ ‘তা কইতে পারি না। নিয়ম জানালাম’। ‘আচ্ছা, শশ্মানে নিয়ে চলুন। যেহেতু নিরঞ্জনের কোন পুত্র বা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এখানে নেই। তাহলে আপনাদের-মন্দিরের সেবকদের উপরই দায়িত্ব বর্তাবে মুখাগ্নি ও শবদাহের সব কার্যক্রমের।’ গলায় জোর দিয়ে আবির জানায়। এতক্ষণে কাছে এসে মুখ খোলে অঞ্জনা। ‘আপনাকেরে কাউকে দেয়া লাগবি না। হামি হামার বাপের মুখাগ্নি করমু’। বোধ হয় সাহস দেয়ার জন্য পাশে এসে দাঁড়ায় হায়দার। ‘এখন তর্ক-বিবাদ করার সময় নয়। শবকে শশ্মানে নিয়ে চলুন’। আবির তাড়া দেয়। ‘তাহলে হামরা শবদাহে থাকতে পারমু না ছার। কুমারী কন্যা দিয়ে মুখাগ্নি করে নিয়মের ব্যাত্যয় ঘটালে দেবতাদের রোষানলে পড়া লাগবি। হামাকেরেক সমাজচ্যুত করে দিবি।’ জানায় মন্দির সেবকের একজন। ‘শালা! তোমাকেরক চেনা আছে। মন্দিরে দেবতাকেরে সামনে কুমারী মেয়েকেরে সাথে ফষ্টিনষ্টি করতে তখন মনে থাকে না!?’ রাগ ও ক্ষোভে চোখ দুটো জ্বলজ্বল করে ওঠে অঞ্জনার! হায়দার ও পুলিশের সহযোগিতায় শবকে শশ্মানে নেয়া হয়। পেছনে চলে অঞ্জনা, আবির ও রফিক।
‘অঞ্জনা, তুমি চিতা সাজাতে পারবে?’
‘হু। হামার মাও মরার সময় ছোট আছনু। তাই আসবার দিছল। চিতা সাজান দেকছি। হামি পারমু’। ক্ষীণ কণ্ঠে অঞ্জনা জবাব দেয়। শবদেহ চিতায় স্থাপন করা হয়। ‘এবার মন্ত্র পড়ে মুখাগ্নি করো’ আবির নির্দেশ দেয়। ‘মন্ত্র পারিনা ডাক্তারবাবু’। ‘সে কী! উপায়?’ আঁতকে ওঠে রফিক। ‘আমি বলে দিচ্ছি দাঁড়াও। আমার সাথে সাথে মন্ত্র পড়তে পারবে না অঞ্জনা?’ আবিরের প্রশ্নে মাথা ঝাঁকায় সে। আবির গুগল সার্চ দেয় – ‘মুখাগ্নির মন্ত্র’ লিখে। মন্ত্র বের করে আওড়াতে থাকে। অঞ্জনাও অনুসরণ করে চিতাকে তিন পাক দেয়। মন্ত্র পড়ে মুখাগ্নি করে।
“ওঁ কৃত্বাতু দূস্কৃতং কর্মং জানতা।
মৃত্যুকাল বশং প্রাপ্য নরং পঞ্চতমাগতম্ ধর্মাধর্ম মমাযুক্তং লোভ মোহ সমবৃত্তম দহেয়ং সর্বগাত্রানি দিব্যাং লোকান স গুচ্ছতু।”
শবদাহ হতে থাকে। দাহকার্য শেষ হলে চিতাগ্নিতে এক এক করে সাত টুকরা ছোট কাঠ দিয়ে জ্বলন্ত চিতার উপর সাতবার আঘাত করল অঞ্জনা। তারপর সাত কলসি পানি দিয়ে আগুন নেভালো সে। হায়দার, আবির, রফিকও এক কলসি করে পানি এনে দিলো। ভষ্মগুলো ঘটে করে ভাসানো হলো। পুরো কার্য সমাধা করতে কখন যে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে বলার জো নেই। এবার ফিরতে হবে। এম্বুলেন্স করে ফেরার পথে অঞ্জনাকে পাল পাড়ায় নামিয়ে দেয়া হল। ‘রাত্তেরে রেডি থাকিস, হামি তোক লিবার আসমু’ সবার অলক্ষ্যে ফিসফিস করে হায়দার অঞ্জনাকে জানিয়ে গেল। অঞ্জনা ঘরে যাওয়ার আগে পাশের পুকুরে স্নান করে নিলো। তারপর পাথর, আগুন, গোবর স্পর্শ করে সে ঘরে প্রবেশ করল। কিন্তু ঘরে ঢুকেই বা কি হবে? এযে ‘শুন্য মন্দির মোর’! ঘরের কপাট কটকটা করে লাগিয়ে ভেতরে ধীরে ধীরে কাপড় ছাড়ে সে। সমস্ত শরীর অবসাদে ছেয়ে গেছে। ঠিক কোনবেলা সে খেয়েছে এখন মনে করতে পারবে না। ক্ষিধে লাগার অনুভূতিও কাজ করে না তার। গতকাল হায়দার কিছু শুকনো খাবার নিয়ে এসেছিল কিন্তু জলখাবার এখন তার গলা দিয়ে নামবে না। অজানা আশংকায় ভেতরটা আনচান করে ওঠে। টিনের দেয়ালের বাতার সাথে দা গোঁজা আছে। সে দা’টি নেড়েচেড়ে দেখে নেয়। দেয়াল ঘেঁষে কুঁকড়ে বসে থাকে। কুপিতে তেল নেই। মড়াবাড়ি বাতিহীন হয়ে থাকে। করোনার মড়া হওয়ায় আপাতত কেউ এতে পা দেবে না- এমন একটা আশ্বাস মনের মধ্যে আসে তার। হাতড়িয়ে বেড়ায় অতীতের মা-বাবার স্মৃতি।
রাত দশটা নাগাদ দরজায় টোকা পড়ে। মনের মধ্যে ডেকে ওঠে কে? হায়দার? হাতের কাছে দা আরেকবার পরখ করে নেয় অঞ্জনা। দরজার ফুটো দিয়ে ২ জনের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। কিন্তু মাস্কের কারণে মুখ ঠাওরানো যায় না। সতর্ক হয় সে। দরজার টোকা ক্রমেই ধাক্কায় রূপ নেয়। খিড়কি খুলে দিয়ে একপাশে সরে পড়ে অঞ্জনা। হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়ে পীযুষ ও তার চেলা। অন্ধকার ঘরে তারা হাতড়াতে থাকে। এই ফুরসতে অঞ্জনা দরজা দিয়ে বাইরে এসে উঠোনের পশ্চিম দিকের ভাঙা বেড়া আলগা করে ঘরের পেছনে বেরিয়ে আসে। ঢং ঢং শব্দে পীযুষেরা বুঝতে পারে অঞ্জনার পলায়ন। ‘এই মালটা পলাইছে, ধর!’ বলে পীযুষ বাইরে চলে আসে। দৌড়াতে থাকে অন্ধকারের ছায়া অনুসরণ করে।