মুক্তির সংগ্রামে নজরুল জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন : উপাচার্য

9

চবি প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের কথা চিন্তা করলেই আমার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা মনে পড়ে যায়। আমার কেন জানি বারবার মনে হয়, কবি নজরুল ও বঙ্গবন্ধু একইসূত্রে গাঁথা।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত আলোচনা সভা ও সংগীতানুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে এসব কথা বলেন তিনি। নজরুল গবেষণা কেন্দ্র, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উদ্যোগে সকাল সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ২ নাম্বার গ্যালারিতে আয়োজিত হয় এ অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্দিরা চৌধুরী ও বাবলা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তাসলিমা বেগম।
অনুষ্ঠানে চবি উপাচার্য তার বক্তব্যে আরো বলেন, কবি কাজী নজরুল ইসলাম যেমন সারাজীবন সমাজের শোষিত শ্রেণির পক্ষে লেখালেখি করেছিলেন ঠিক তেমনিভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও সমাজের শোষিত শ্রেণির পক্ষে ও শোষকের বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
এতে প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলম। এসময় তিনি বলেন, কবি নজরুলের সাহিত্যে মানুষের পেটের ক্ষুধার কথা এসেছে আগে এবং পরে এসেছে আত্মার কথা। নজরুল তার ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছিলেন যে সমাজে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ তৈরি হয়েছে। এ উপলব্ধি থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি তার লেখনিতে সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে বৈষম্যের বিষয়টি চিত্রায়ন করেছেন। এবং সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহবান জানিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আধ্যাত্মিক দিক থেকে নজরুলের চিন্তা ছিল অত্যন্ত উঁচু মানের। তার সাহিত্য বিশ্লেষণ করে আমি এমন কিছু দেখেছি যেখানে তার আস্তিক্যবাদী বিশ্বাসের প্রমাণ পাওয়া যায়।তিনি ধর্মকে তার গভীরে ধারণ করতে পেরেছিলেন বলেই অসা¤প্রদায়িক হতে পেরেছিলেন। তিনি দেখিয়েছিলেন ধর্ম কখনো অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ শেখায় না।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শেষে দুপুর একটায় অনুষ্ঠিত হয় সংগীতানুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা এতে সংগীত পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে ও কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হক।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মহিবুল আজীজ, অধ্যাপক ড. সেকান্দার চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।