‘মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনো ভুলবে না আওয়ামী লীগ’

10

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ২৭ মার্চ জেলা পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কখনো ভুলবে না, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শে দেশকে গড়ে তুলছেন। যে সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন, আমরা তাঁদের শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করি, আল্লাহতাআলা যেন তাঁদের জান্নাত নসিব করেন। মুক্তিযোদ্ধারা হলেন আমাদের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিল দেশ স্বাধীন করার জন্য। তাঁদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছে একটি লাল সবুজের পতাকা। বিএনপি সরকার শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের পরিচয় প্রকাশ করতে ভয় পেতেন। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, যেসব মুক্তিযোদ্ধা একেবারে অবহেলিত পড়ে ছিলেন, সরকার তাঁদের খুঁজে বের করে সব ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভাতার ব্যবস্থা করা, মারা গেলে রাষ্ট্রীয় সম্মানের ব্যবস্থা, এমনকি দাফনের ব্যবস্থাও করছে সরকার। তরুণ প্রজন্ম যদি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি দেখে বিজয়ের ইতিহাস জানতে পারে, তাহলে তারা অনুপ্রাণিত হবে, জানবে কীভাবে দেশের জন্য কাজ করতে হয়। এ লক্ষ্যে সরকার প্রতিটি উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করছে। ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, যেখানে জাতির পিতা ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা ও পাকিস্তানি দখলদারির পর দেশ পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছিলেন, পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে, সেটি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও নিয়েছেন। কেউ কখনো মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করবে না। ভবিষ্যতে কেউ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারকে অবহেলার চোখে দেখবে না। তিনি উল্লেখ করেন, সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছে। এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে অব্যাহত থাকবে। আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) অবদান চিরকাল মনে রাখব। আমরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি রক্ষায় কাজ করছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দিদারুল আলম, সদস্য আ ম ম দিলশাদ, ফারহানা আফরিন জিনিয়াসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি‘