পূর্বদেশ ডেস্ক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, সাবেক গণপরিষদ সদস্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম আবু ছালেহ আর নেই।
গতকাল বুধবার (৩ আগস্ট) নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। বর্ষীয়ান এ রাজনীতিকের ইন্তেকালে চট্টগ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম আবু ছালেহ’র ইন্তেকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রী এক শোক বিবৃতিতে মরহুম আবু ছালেহ’র আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এছাড়া শোক প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোতালেব সিআইপি, সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য মোহাম্মদ ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মুকুুল, ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, নুরুল আলম মন্টু, নূরে আলম সিদ্দিকী, মিটুল দাশ গুপ্ত, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির শওকত বাঙালি, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, অলিদ চৌধুরী, রুবা আহসান প্রমুখ।
গতকাল বুধবার বাদে এশা নগরীর কদম মোবারক এতিমখানা মসজিদ প্রাঙ্গণে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছালেহ’র প্রথম জানাজা হওয়ার কথা ছিল। এছাড়া আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সাতকানিয়া কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, এম আবু ছালেহ ১৯৪০ সালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ষাটের দশকের ছাত্রনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে অংশগ্রহণ করে সাতকানিয়া-কুতুবদিয়া-চকরিয়া (এন-ই-১৬০) থেকে এমএনএ নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ ও পূর্ব অঞ্চলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
