মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন চুক্তি মেনে চলবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

5

পূর্বদেশ ডেস্ক

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক সরকার জানিয়েছে যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য তারা ঢাকা ও নেপিদোর মধ্যকার স্বাক্ষরিত পূর্ববর্তী সকল চুক্তি মেনে চলবে। ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের সাথে তার গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকের ব্যাপারে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা ভাল খবর’।
২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মিয়ানমার একটি প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে একজন রোহিঙ্গাও তাদের নিজ ভূমি রাখাইন রাজ্যে ফিরে যায়নি। মোমেন বলেন, মিয়ানমার সামরিক কর্তৃপক্ষ বেইজিংকে জানিয়েছে যে সত্যতা যাচাই করার পর, তারা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। যদিও বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কবে শুরু হবে, সে ব্যাপারে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ জানানো হয়নি।
মোমেন বলেন, চীন আশ্বস্ত করেছে যে বেইজিং রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবে।
মোমেন বলেন, ‘তারা (চীন) পরিস্থিতি সহজ করতে ভ‚মিকা রাখছে, কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নয়। আমরা এই সংকট নিরসনে তাদের বারংবার অনুরোধ করে যাচ্ছি’।
তিনি বলেন, ঢাকা এই সংকট সমাধানে ভ‚মিকা রাখতে চীনের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে। চীন একটি ত্রিপাক্ষিক পদ্ধতির আওতায় রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধানের উপায় বের করতে গত চার বছর ধরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভ‚মিকা পালন করছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে চীনা রাষ্ট্রদূতের ঘন্টাব্যাপী দীর্ঘ আলোচনা হয়। আলোচনা শুধুমাত্র রোহিঙ্গা ইস্যুতেই সীমাবদ্ধ ছিল। খবর বাসসের
এর আগে, রাষ্ট্রদূত জিমিং জানিয়েছিলেন যে মিয়ানমার পক্ষের সাথে তাদের আলাপের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা রোহিঙ্গা ইস্যুর দ্রুত ও টেকসই সমাধান চায়। তিনি বলেন, ‘আমি (রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে) সব সময়ই আশাবাদী’। মোমেন বলেন, ‘জিরো পয়েন্টে’ বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে ভ‚মিকা রাখার আহ্বানটি বেইজিংকে পৌঁছে দিতে তিনি চীনের রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছেন।