মিয়ানমারের মঠে হামলায় ভিক্ষুসহ নিহত ২২

5

পূর্বদেশ ডেস্ক

মিয়ানমারের গত সপ্তাহে তিন বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ অন্তত ২২ জনকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। চিকিৎসকের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকারের বিরোধীরা বলছে, সেনাবাহিনীই সাধারণ মানুষের ওপর এই হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। তবে মিয়ানমারের জান্তার এক মুখপাত্র বলেছেন, তাদের সেনারা দক্ষিণের শান রাজ্যের পিনলাউংয়ে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল, কিন্তু তারা কোনও বেসামরিক মানুষের ক্ষতি করেনি।জান্তা মুখপাত্র জ মিন তুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, কারেনি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) এবং অন্য একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী নান নিন্ত গ্রামে ঢুকেছিল। স্থানীয় একটি মিলিশিয়া বাহিনীকে নিরাপত্তা দিতে সরকারি বাহিনী গ্রামটিতে পৌঁছানোর পর এই গোষ্ঠীগুলো সেখানে প্রবেশ করে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো বেপরোয়াভাবে গুলি চালালে কিছু গ্রামবাসী নিহত ও আহত হয়।
তুনের কাছ থেকে আরও কিছু তথ্য জানতে চেয়ে রয়টার্স একাধিকবার ফোন করলেও তাতে সাড়া দেননি তিনি। তুন যে কথা বলেছেন, রয়টার্স তা নিরপেক্ষ সূত্রে যাচাইও করতে পারেনি।
কেএনডিএফ-এর মুখপাত্র বলছেন, তাদের যোদ্ধারা গত রবিবার নান নিন্ত গ্রামে প্রবেশ করে একটি বৌদ্ধ মঠে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মৃতদেহ দেখতে পায়।
কেএনডিএফ এবং অন্য একটি গোষ্ঠী কারেনি রেভল্যুশন ইউনিয়ন (কেআরইউ) এর প্রকাশিত ভিডিও এবং ছবিতে মৃতদেহের ধড় ও মাথায় বুলেটের ক্ষত এবং মঠের দেয়ালে বুলেটের ছিদ্র দেখা গেছে। তবে রয়টার্স এইসব ভিডিও বা ছবির সত্যাসত্য যাচাই করতে পারেনি।
চিকিৎসক ইয়ে জাওয়ের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ জনকে হত্যা করতে সম্ভবত খুব কাছ থেকে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলি ছোড়া হয়েছিল। নিহতদের মধ্যে তিনজন জাফরান পোশাক পরিহিত ভিক্ষু ছিলেন।
ইয়ে জাও বলেন, বাকি মৃতদেহগুলোতে কোনও সামরিক ইউনিফর্ম, সরঞ্জাম এবং গোলাবারুদ পাওয়া না যাওয়ায় এটি স্পষ্ট যে, তারা বেসামরিক নাগরিক ছিল। আর নান নিন্ত মঠের পরিধির মধ্যে সব মৃতদেহ পাওয়া যাওয়ায় এটি স্পষ্ট যে, তা ছিল হত্যাযজ্ঞ।
নান নিন্ত গ্রামে গত দুই সপ্তাহ ধরে লড়াই চলছে। গ্রামের ভেতরে-বাইরে প্রায় ১০০টি কাঠামো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।