মিরসরাইয়ে ঝর্নায় পড়ে যুবকের মৃত্যু

100

মিরসরাইয়ের রূপসী ঝর্নার কূপে ডুবে যুবকের সলিল সমাধি হয়েছে। ওই যুবকের নাম মেহেদী হাসান প্রান্ত (২১)। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের বড় কমলদহ এলাকার রূপসী ঝর্নায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সে নাটোর জেলার নাটোর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামের নুরুল আমিনের পুত্র। প্রান্ত চট্টগ্রাম নগরীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট টেকনোলজিতে সিভিল ডিপার্টমেন্টের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র ছিল। সে এবং তার বন্ধুরা চট্টগ্রাম নগরীর কর্নেলহাট প্রশান্তি আবাসিক এলাকায় থাকতো।
মেহেদী হাসানের বন্ধু শাহরিয়ার ইসলাম বলেন, রূপসী ঝর্না দেখার জন্য আমরা বৃহস্পতিবার সকালে ছয় বন্ধু চট্টগ্রাম শহর থেকে আসি। ঝর্নায় দ্বিতীয় স্তরে উঠে মেহেদীসহ আরো দুই জন উপর থেকে পানিতে লাফ দেয়। এসময় ২ জন উঠে গেলেও মেহেদী উঠতে পারেনি। সে মুহূর্তের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যায়। আমরা অনেক চেষ্টা করেও তার কোন হদিস পাইনি। এভাবে তাকে হারাতে হবে কখনো ভাবিনি।
মেহেদী হাসানের পিতা নুরুল আমিন বলেন, মেহেদী বুধবার রাতে আমাকে বলে বন্ধুরা মিলে সবাই রূপসী ঝর্না দেখতে যাবে। আমি নিষেধ করার পরও সে ঝর্নায় যাওয়ার জন্য বায়না করতে থাকে। পরবর্তীতে আমি তাকে বলি ঝর্নায় গেলেও পানিতে না নামার জন্য, যেন উপরে থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার বন্ধুরা আমাকে মোবাইলে জানায় সে ঝর্না দেখতে গিয়ে পানিতে ডুবে গেছে। ডুবুরি দল অনেক খোঁজার পর প্রান্তের নিথর দেহ উদ্ধার করে।
নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইয়াছির আরাফাত বলেন, রূপসী ঝর্নায় পর্যটক ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় ৩ ঘন্টা পর মেহেদী হাসানের লাশ উদ্ধার করা হয়। মেহেদী হাসানের লাশ সুরতহাল করে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সীতাকুন্ড ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফ বলেন, পর্যটক পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে মিরসরাই ও সীতাকুন্ড ফায়ার স্টেশনের ডুবুুরি দল ঘটনাস্থলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। প্রায় ৩ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে দুপুর ১ টায় লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। ঝর্নার উপর থেকে ৩ বন্ধু পানিতে লাফ দেয়। ২ জন পানি থেকে উঠলেও মেহেদী পানিতে ডুবে যায়।