মিথ্যাচারে নোবেল থাকলে ফখরুল পেতেন : কাদের

8

পূর্বদেশ ডেস্ক

বাজেট নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন ‘হাওয়া ভবনের’ কথা। গতকাল শুক্রবার মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘মিথ্যাচারে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হলে তা ফখরুল পেতেন।’ খবর বিডিনিউজের
কাদের বলেন, বাজেট হতে না হতেই ফখরুল দেখছেন লুটপাট। লুটপাট বিএনপির অস্থিমজ্জার সঙ্গে মিশে গেছে। লুটপাট ছাড়া এরা কিছুই বোঝে না। আবার ক্ষমতায় এলে লুটপাট করবে, হাওয়া ভবনের নামে খাওয়া ভবন করবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের দারুসসালাম থানার ত্রিবার্ষিক এবং ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বক্তৃতা করছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বাজেট নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে কাদের বলেন, যিনি নিজে চোর, তিনি অন্যকেও চোর ভাবেন। যিনি লুটপাট করেন, তিনি অন্যকেও লুটেরা ভাবেন। আপনাদের নেতা তো অর্থ পাচারকারী, পলাতক, দন্ডপ্রাপ্ত আসামি। টেমস নদীর পাড়ে বসবাস করছেন। কোথা থেকে এই টাকা আসে? কত টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার করে এভাবে বিলাসের জীবনযাপন করছেন, আমরা জানতে চাই।
দেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও কর্ণফুলী টানেলসহ বিভিন্ন প্রকল্প নির্মাণ করা শেখ হাসিনার ‘অপরাধ’ কিনা- সেই প্রশ্ন করেন সেতুমন্ত্রী।
খালেদা জিয়া প্রথম পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর করেছেন- মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে মাওয়া-জাজিরায় খালেদা জিয়া নাকি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কবে কখন কোথায়? বিএনপির যোগাযোগ মন্ত্রী নাজমুল হুদাকে জিজ্ঞেস করলাম- তিনি প্রকাশ্যেই বললেন, বিএনপির আমলে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। কোনো ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়নি।’
পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপি নেতাদের ‘জ্বলছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন শেখ হাসিনা। বুকে বড় ব্যথা, বড় বিষজ্বালা। বিএনপি আজকে জ্বলছে। সারা দেশের মানুষ দক্ষিণাঞ্চলের জনগণ তাদের মুখে হাসি। আর বিএনপি নেতাদের মুখে শ্রাবণের আকাশের সব কালো মেঘ। তারা সহ্য করতে পারছে না।
‘নিরপেক্ষ তত্ত¡াবধায়ক সরকার’ ছাড়া বিএনপির নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের বিষয়ে কাদের বলেন, বেগম জিয়া এক সময় বলেছিলেন, ‘শিশু ও পাগল ছাড়া দেশে নিরপেক্ষ কেউ নেই’, তাহলে বিএনপি কি পাগল ও শিশুকে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকার বানাতে চায়?
সম্মেলনে আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাদের মূল্যায়নের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আশার আলো দেখিয়েছেন, তা যেন নিভে না যায়- এটাই অনুরোধ করি। এত ভালো লোক, এত ভালো কর্মী, এত ভালো নেতা আর কোনো দলে আছে? তাহলে কেন খারাপ লোক টানবেন? খারাপ লোকদের টানার কোনো প্রয়োজন নেই। দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করবেন। আমার বিশ্বাস যেভাবে আপনারা এগিয়ে যাচ্ছেন, আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল হবে, আরও ঐক্যবদ্ধ হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ নিয়ে আমরা আগামী নির্বাচনে অংশ নেব।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুল রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, স্থানীয় সংসদ সদস্য আগা খাঁন মিন্টু, দারুসসালাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মাজহারুল আনাম সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।