মাস্টারপ্ল্যানে অবসান হবে অন্ধকার যুগের : জেলা প্রশাসক

15

নিজস্ব প্রতিবেদক

সীতাকুন্ডের জঙ্গল সলিমপুরে উদ্ধারকৃত ৩১০০ একর জমি, এলাকার পরিবেশ-প্রতিবেশের ভারসাম্য, জীববৈচিত্র ও পাহাড় রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিবুল হাসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। সভায় উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, ভূমি মন্ত্রণালয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ’র সিনিয়র সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও গ্রাম রক্ষা বাহিনী’র প্রধানগণ চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী ও সিডিএ চেয়ারম্যান মো. জহিরুল আলম দোভাষকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুরের উদ্ধারকৃত ৩১০০ একর খাস জমির বিষয়টি সরকারের নজরে আসে। সেজন্যই পাহাড় ও বনরক্ষা করে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য আনয়ন ও জীববৈচিত্র রক্ষায় কীভাবে জঙ্গল সলিমপুরকে সবুজায়নের মাধ্যমে সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়, এ লক্ষ্যে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক হতে যাচ্ছে। মাস্টারপ্ল্যানের মাধ্যেমে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় অন্ধকার যুগের অবসান ঘটবে।
তিনি বলেন, জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বেহাত হওয়া প্রায় ৩১০০ একর খাসজমি উদ্ধার করেছি। খাসজমি ভূমিদস্যুরা সাধারণ মানুষের কাছে প্লট অনুযায়ী দখলস্বত্ব বিক্রয় করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং কয়েকজন কারাগারেও আছেন।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন দশক ধরে জঙ্গল সলিমপুরের পাহাড়ে হাজারো অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠে। এছাড়া এখানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে ওঠে। গত এক মাস ধরে জেলা প্রশাসন সেখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
এক সময় জঙ্গল সলিমপুর চট্টগ্রামের এক বিচ্ছিন্ন এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। যেখানে প্রবেশ করতে গেলেও ভূমিখেকো ও সন্ত্রাসীদের দেয়া পরিচয়পত্র ছাড়া কেউ ঢুকতে পারতেন না। প্রশাসনের কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্যে তাদের নজরদারী ছিলো। এলাকাটি ছিল সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য।
জঙ্গল সলিমপুর এলাকাটিতে অনেক পাহাড় রয়েছে কিন্তু ভূমিখেকো ও সন্ত্রাসীরা পাহাড় কেটে সাবাড় করে প্লট বিক্রয় করছিল। পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করেছে, যা অবর্ণনীয়। ভূমিখেকোরা পাহাড় কেটে, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগসহ অবৈধভাবে আবাসস্থল তৈরি করে।