মার্চে চালু হচ্ছে দিবা-রাত্রির ফ্লাইট

19

পূর্বদেশ ডেস্ক

আগামী মার্চ মাসে কক্সবাজার বিমানবন্দরে চালু হচ্ছে দিবা-রাত্রির ফ্লাইট। পর্যটন নগরীতে অবকাঠামোর সঙ্কটে এখন পর্যন্ত বিকাল ৫টা পর্যন্ত ফ্লাইট ওঠানামা করতে পারে। তবে এ সঙ্কট আর থাকছে না মার্চ থেকে। তখন রাতেও চালু হবে রাত্রিকালীন ফ্লাইট। সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গোপসাগরের নাজিরারটেক মোহনা। গত কয়েকমাস আগেও সমুদ্রের এই মোহনায় জোয়ার-ভাটা হতো। কিন্তু দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এই মোহনায়। যেখানে সমুদ্র ছুঁয়ে তৈরি হচ্ছে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রানওয়ে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের নয় হাজার ফুটের দীর্ঘ রানওয়েকে ১০ হাজার ৭০০ ফুটে সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকছে সমুদ্রের মধ্যে।
এরইমধ্যে চারদিকে শেষ হয়েছে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ, শেষ হয়েছে বালি ভরাটও। এখন চলছে মাটি লেভেল ও ব্লক আনার কাজ। নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগে বর্ধিত এই নতুন রানওয়ের কাজ শেষ হবে বলে জানালেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে বর্ধিতকরণ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়ক ইঞ্জিনিয়ার এম মোশাররফ হোসাইন বলেন, প্রধানমন্ত্রী গত বছরের আগস্ট মাসে সমুদ্র ছুঁয়ে নতুন রানওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে সমুদ্রের মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট নতুন রানওয়ের নির্মাণ কাজ। গত ৫ মাসে এই প্রকল্পের ১০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। যার মধ্যে জিও ব্যাগ ও বালি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। এখন মাটি লেভেলের কাজ এবং সিসি বøক আনার কাজ চলছে। যেভাবে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে এতে আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের ৬ মাস আগেই এই নতুন রানওয়ের কাজ সম্পন্ন হবে।
এদিকে একই সঙ্গে থেমে নেই ঝিনুকের আদলে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের টার্মিনাল নির্মাণের কাজ। এরইমধ্যে বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে এবং অন্যান্য কাজগুলো শেষ হয়েছে ৬৭ শতাংশ।
ন্যাশনাল ডেভেলাপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারস লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিকমানের টার্মিনালের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। সব কাজ ৬৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। আশা করি, নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হবে। তবে আমরা বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছি এই টার্মিনালটিকে। কারণ, ঝিনুকের আদলে তৈরি হচ্ছে এই টার্মিনাল, যেখানে কক্সবাজারের একটি ঐতিহ্য ফুটিয়ে তোলা হবে।