মার্কিন হামলায় আইএস প্রধান বাগদাদী নিহত

37

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী। এতে আইএসের প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদী নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) পেন্টাগনের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানায়। হামলার পর এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক বড় কিছু এইমাত্র ঘটেছে।’
পেন্টাগনের ওই কর্মকর্তা বলেন, অভিযান চলাকালীন বাগদাদীকে সুইসাইড ভেস্ট পরা অবস্থায় চিহ্নিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। তবে ডিএনএ ও বায়োমেট্রিক পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পরই তার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বাগদাদীর মৃত্যু নিয়ে এখনই সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে চায়নি পেন্টাগন। তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলে জানান, রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় এ বিষয়ে কথা বলবেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তার আগেই ট্রাম্প টুইট করে ঘটনাটির ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আইএসের প্রধান হিসেবে ২০১০ সালে আত্মপ্রকাশ করেন বাগদাদী। এরপর ২০১৩ সালে ইরাকে আইএস জঙ্গিগোষ্ঠীর গোড়াপত্তনের ঘোষণা দেন তিনি। ২০১৪ সালে ইরাকের মসুলে আল নুরি মসজিদের সামনে এক ভিডিওতে বাগদাদীকে প্রথম দেখা যায়। এরপরই বাগদাদীর বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান চালাতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।
খবরে বলা হয়, পাঁচ বছর ধরে আত্মগোপন করে রয়েছেন তিনি। চলতি বছরের এপ্রিলে জঙ্গিগোষ্ঠীটির মিডিয়া উইং আল ফুরকানের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে একজনকে দেখে বাগদাদী সন্দেহ হয় পেন্টাগনের। গণমাধ্যমে এর আগেও বেশ কয়েকবার বাগদাদীর মৃত্যুর খবর এসেছে। ২০১৭ সালের মে মাসে রাশিয়া দাবি করেছিল, রুশ বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন বাগদাদী। সেসময় ইরানের গণমাধ্যমেও বাগদাদীর মৃত্যুর খবর ছাপানো হয়। তবে এরপরও আইএসের বিভিন্ন হামলায় বাগদাদীর নেতৃত্ব দাবি করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। তারা জানায়, আত্মগোপনে থেকেই তাদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সবশেষ, ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছিল, মার্কিন বিমান হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন বাগদাদী। এর আগে, ২০১১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র আল বাগদাদীকে সন্ত্রাসী বলে ঘোষণা করে। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য ওই সময় ২৫ মিলিয়ন ডলার পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়। বাংলানিউজ