মানুষের মননে সুকুমারবৃত্তির উন্মেষ ঘটায়

10

 

উচ্চাঙ্গসংগীতের রস গ্রহণের প্রভাবে সুকুমার মানবীয় চিত্তবৃত্তির উদ্বোধন ঘটে। যা শ্রুতিঅঙ্গন চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সম্প্রতি নগরীর থিয়েটার ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে একাদশ বার্ষিক উচ্চাঙ্গসংগীত সম্মিলনের আয়োজন করেন শ্রুতিঅঙ্গন। প্রবীর পাল ও প্রনিতা দেব এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত উপমহাদেশের খ্যাতিমান বংশীবাদক উস্তÍাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন লায়ন প্রকাশ বিশ্বাস ও রিয়াজ ওয়ায়েজ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী বলেন, শুদ্ধাসংগীতের চর্চা, প্রচার-প্রসারে সরকাররের পাশাপাশি সমাজের ধণাঢ্য ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষকতা অতিব জরুরি। সভাপতি ও উপ-উপাচার্য (চ.বি) প্রফেসর বেনু কুমার দে বলেন, বিশ্ব অতিমারি কাঠিয়ে শ্রæতিঅঙ্গন ১১ বৎসর পূর্ণ করে প্রমাণ করেছে, “উদ্দেশ্যে যদি মহৎ হয় কোন বাঁধাই বাঁধা নয়”। ভৈরবী রাগে ধ্রæপদ, প্রয়াত সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমানের রচনায় ও শিল্পী লিটন দাশের পরিচালনায় দরবারী কানাডা, মূলতানী, আড়ানা রাগে বাংলা খেয়াল ও তাড়ানা পরিবেশন করেন। এরপর ভূপালী রাগে একতালে বিলম্বিত ও ত্রিতালে দ্বৈত খেয়াল পরিবেশন করেন শিল্পী নিলয় দত্ত ও জয়শ্রী সেন, তবলায় সুমন মজুমদার, তানপুরায় অথই বণিক। এরপর ত্রিতালে তবলা লহড়া পরিবেশন করেন আগরতলা ত্রিপুরার শিল্পী সুমন ঘোষ, হারমোনিয়ামে শুভজিৎ শংকর সেন। এরপর যোগ রাগে দ্বৈত খেয়াল পরিবেশন করেন উদীয়মান শিল্পী সৈকত দত্ত ও ঐন্দ্রিলা চৌধুরী, তবলায় রাজীব চক্রবর্তী। তাদের পরিবেশনায় নিয়মিত রেওয়াজের ছাপ পাওয়া যায়। এরপর রাগ মধুবন্তী পরিবেশন করেন আগরতলা ত্রিপুরার শিল্পী শুভজিৎ শঙ্কর সেন, তবলায় সহযোগিতা করেন সুমন ঘোষ। সরোদ ও বেহালায় যুগলবন্দী খেয়াল পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন পশ্চিমবঙ্গ কোলকাতার প্রতিষ্ঠিত শিল্পী অর্ণব ভট্টাচার্য্য ও অর্পন বোস। তাদেরকে তবলায় সহযোগিতা করেন পশ্চিমবঙ্গ কোলকাতার শিল্পী সমীর আচার্য্য।