মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না: শেখ হাসিনা

17

পূর্বদেশ অনলাইন
এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে যাতে না পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতিমণ্ডলীর প্রথম সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সভাটি শুরু হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির ১৭ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য। দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‌‌‌আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ এই দেশটা জাতির পিতা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। বাংলাদেশের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। আর ভবিষ্যতে তাদের কষ্ট করতে হবে না, সবাই যেন সুন্দর একটা জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়, সমৃদ্ধশালী জীবন পায় সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য; সেটাই করতে চাই। আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সম্মেলন হয়ে গেছে। আবার নতুন করে আমরা কমিটি করেছি। নিয়ম অনুযায়ী গঠনতন্ত্র মোতাবেক আমরা আমাদের সদস্যদের নির্বাচিত করব। এই সংগঠনটাই আমাদের বড় শক্তি এটাও মাথায় রাখতে হবে। সংগঠন যদি শক্তিশালী থাকে, আর মানুষের আস্থা বিশ্বাস যদি অর্জন করতে পারি তাহলে সরকার চালানো এবং দেশের উন্নয়ন করা কঠিন কাজ হয় না; এটা হল বাস্তবতা। সে বাস্তবতা নিয়েই আমরা কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা পুনরুল্লেখ করে তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ, আমাদের যে লক্ষ্য ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ- সেটা কীভাবে করবো, কি কি ক্ষেত্রে করবো সেটা আমি আগেও বলেছি। আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী হবে স্মার্ট, সেটাই আমরা করতে চাই। বাংলাদেশ সবসময় এগিয়ে থাকবে। বিগত সময়ে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি, স্যাটেলাইট যুগে পদার্পণ করেছি। আগামী ২৮ তারিখ মেট্রোরেল (উদ্বোধন), এটা কিন্তু ইলেকট্রিক ট্রেন। এটাও কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে হতো না। আজকে কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে পদ্মা সেতু, যেটা নিয়ে আমাদের বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা নিয়েছিলাম এবং নিজেদের টাকায় করব সেই ঘোষণা দিয়েছিলাম। নিজেদের টাকায় আমরা পদ্মা সেতু করেছি। কারো কোনো টাকা আমরা নেইনি, সেই সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ধাক্কাগুলো যদি না আসতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, তাহলে আজকের বাংলাদেশ আমরা আরও অনেক দূরে এগিয়ে যেতে পারতাম। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফরউল্ল্যাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযূষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম), অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সিমিন হোসেন রিমি বৈঠকে ছিলেন।