মানুষের একটাই দাবি সরকারকে বিতাড়িত করা

11

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ তার মালিকানা, ভোটাধিকার, আইনের শাসন এবং জীবনের নিরাপত্তা ফিরে পেতে চায়। জনগণ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে অবৈধ ফ্যাসিস্ট, দখলদার, অনির্বাচিত ও নির্যাতনকারী সরকারকে বিদায় নিতে হবে। এবার আর ভোট চুরি করতে দেয়া যাবে না। ভোট চোরদের হাতেনাতে ধরতে হবে। ভোট চোরদের ধরে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের একটাই দাবি এই সরকারকে বিতাড়িত করা।
গতকাল শনিবার বিকালে কাজীর দেউড়িস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নাই। দেশকে বাঁচাতে হলে জনগণের কাছে কিছু ওয়াদা দিতে হবে। সেটাই করেছেন দেশনায়ক তারেক রহমান। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণার মধ্যদিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বের যোগ্যতা অনেক উপরে স্থান পেয়েছে। আজকে বিএনপির ২৭ দফার রূপরেখা বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি সরকারে আসলে কোনো রোগী বিনা চিকিৎসায় ও টাকার অভাবে মারা যাবে না। জাতীয় সংসদে নারীদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। শিক্ষিত জাতি ছাড়া দেশ কোনোভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। প্রত্যেকটা নাগরিক যাতে হেলথ সুবিধা পায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারেক রহমান যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তাতে দেশের আমূল পরিবর্তন হবে। আবার যারা হতদরিদ্র তাদেরকে ওষুধের জন্য টাকা দেওয়া হবে। যারা চাকরি পাবে না, যারা বেকার তাদের জন্য বাজেটের একটি অংশ বরাদ্দ থাকবে। অনেকে প্রশ্ন করে, এতটাকা দেওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে কি-না। আসলে বাংলাদেশে টাকা আছে। পদ্মাসেতুতে ১০ হাজার কোটি টাকার পরিবর্তে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ না করলে, এসব টাকা দেওয়া কোনো ব্যাপার না।
তিনি বলেন, বিএনপি শুধু ক্ষমতার পালাবদল নয়, রাষ্ট্রকাঠামোতে গুণগত পরিবর্তন চায়। রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষে এবং মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০-এর আলোকে বিএনপি রাষ্ট্র সংস্কারের পরিকল্পনা করছে। এজন্যই তারেক রহমান গণতন্ত্রকামী সকল দল ও শক্তিসমূহকে নিয়ে নির্বাচনোত্তর একটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় সরকার গঠন এবং জনগণের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্বশীল দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা প্রতিষ্ঠার রোডম্যাপ উপস্থাপন করেছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহব্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহŸায়ক আবু সুফিয়ান, বার কাউন্সিলের সদস্য এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, বিশিষ্ট চিসিৎসক অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, এড. মফিজুল হক ভুঁইয়া, অধ্যাপক এস এম নসরুল কদির, এড. এনামুল হক, এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আব্বাস উদ্দীন , বিএনপি নেতা আলহাজ এম এ আজিজ, মো. মিয়া ভোলা, এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, নুরুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, আলহাজ সালাউদ্দিন, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন শিকদার, এনামুল হক এনাম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, মাহবুব আলম, মোশারফ হোসেন, এড. ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, মোস্তাফিজুর রহমান, এড. কাশেম চৌধুরী, এড. আবু তাহের, নুরুল কবির, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহিলাদলের মনোয়ারা বেগম মনি, জেলী চৌধুরী, জান্নাতুন নাঈম রিকু প্রমুখ।